ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ৫ দিনে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে কয়েকশ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
গতকাল সকালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫৭ জন, বিকালে ভর্তি ৪৮ জন, রাতে ভর্তি ৩৮ জন। এখনো রোগী ভর্তি হতেই আছে এমনটি জানালেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডিপ্লোমা এ্যাসিসট্যান্ট নুরজাহান খাতুন। ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা, এমনকি খোলা মাঠেও হাসপাতালের রাস্তায়, প্যান্ডেলে রোগী রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রমজান শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই সব বয়সের রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শহরের কাঞ্চননগর ও কলাবাগান এলাকায় এ রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ।
কাঞ্চননগর এলাকার সেলিম হোসেন জানান, রাতে সাহরি খাওয়ার পর থেকে তার পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই এলাকার রাবেয়া খাতুন জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত রবিবার তার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন দুপুরে তিনি নিজেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাররম হোসেন বলেন, কয়েকদিন যাবৎ ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পানিবাহিত জীবাণুর কারণে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া রমজানে নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়ার কারণেও এ রোগ হতে পারে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলী বলেন, গত তিনদিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১৬০ জনকে। এছাড়া আউটডোরে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে প্রায় ২০০ জনকে। প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালে একটি অস্থায়ী ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, চিড়ার পানি ও ডালের পানি, ভাতের মাড়, চালের গুঁড়ার জাউ খেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সবাইকে ফুটানো পানি পান ও মলত্যাগ শেষে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে।
Leave a reply