তামিম ইকবালের সাহসী নেতৃত্বে ২০২৩ বিশ্বকাপে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। ফ্যন্টাস্টিক ফোর তামিম-সাকিব-মুশফিক-রিয়াদের শেষ বিশ্বকাপের ইঙ্গিত দিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন তামিম ইকবাল।
২০২০ সালের মার্চে অধিনায়কত্বের অবসান হয় ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। এরপর সফল অধিনায়ক ম্যাশের রেখে যাওয়া লিগ্যাসিটা এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব বর্তায় তামিম ইকবালের কাঁধে। পরের সিরিজে দেশের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়েই ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে তামিম জানান দেন নিজের নেতৃত্বগুণ।
দ্বিতীয় মেয়াদে তামিমের নেতৃত্বে গেল দুই বছরে ২০ ম্যাচ আর ৭ সিরিজের পরিসংখ্যান কথা বলছে এই ওপেনারের। ৭ হারের বিপরীতে ১৩ জয়। রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম ম্যাচের সাথে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ইতিহাস। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও দেশের বাইরে জিম্বাবুয়ে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়। অধিনায়ক হিসেবে আত্মবিশ্বাসী তামিম উপভোগের মন্ত্রে বিশ্বাসী। বললেন, উপভোগ না করলে আমিই অধিনায়ক্ত ছেড়ে দিব।
এদিকে, বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান আর মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিককে ছাড়াই আরও একটা সিরিজ জয় বাংলাদেশের। টানা সিরিজ জয়ে আবারও ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে আইসিসি ওয়ানডে সুপারলিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। পেছনে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড-উইন্ডিজ-ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো। এবার ২০২৩ বিশ্বকাপে চোখ তামিম ইকবালের।
এই ব্যাটার বলেন, এখনও অনেক জায়গা আছে, যেগুলো আমাদের ঠিক করতে হবে। ২০২৩ বিশ্বকাপ সম্ভবত হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আসরগুলোর একটি, বিশেষ করে আমাদের চারজনের জন্য। আমরা খুব সম্ভবত সেখানেই শেষ করব। আমাদের স্রেফ সম্ভাব্য সেরা দল সমন্বয় ও সেরা দল গড়তে হবে।
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যখন হতাশায় বাংলাদেশ, তখন ওয়ানডে ফরম্যাটে মিলছে স্বস্তি। অধিনায়ক হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছেন তামিম। যার ফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। আথচ বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেয়া কতটা চাপের তা ভালোই জানা সদস্য বিদায়ী টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের। তবে সব চাপ পেছনে ফেলে অধিনায়ক তামিমের পারফরমেন্স ঈর্ষনীয়।
/এমএন
Leave a reply