জেলবন্দিদের সাথে মাসের পর মাস দেখা নেই স্বজনদের, দূর থেকে ইশারাতেই চলে কথা

|

ইশারায় বন্দি ও স্বজনদের চলে ভাবের বিনিময়।

চার দেয়ালে বন্দি কারো স্বামী, ভাই, কারো পিতা বা সন্তান। কেউ সাজাপ্রাপ্ত, কারো মামলা বিচারাধীন। কেউ আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে দিনের পর দিন রয়েছেন লাল দালানে বন্দি। খুলনা জেলা কারাগারের কয়েদিদের এভাবেই কাটছে দিন। সীমাবদ্ধতা ও জেলকোডের বাধ্যবাধকতার কারণে কারাগারে থাকা এসব বন্দির সাথে সচরাচর দেখা করতে পারেন না পরিবারের সদস্যরা। তাই কারাগারের আশপাশের উঁচু স্থান থেকেই চলে ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান।

সরাসরি দেখা করার সুযোগ না থাকলেও কারাগারের আশপাশের দালান থেকে বন্দিদের দেখতে আসেন স্বজনরা। তাই বাবার সাথে দেখা করার আবদার করেও অনুমতি মিলছে না তিন বছরের সুজনের। জেলখানার পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকেই শেষমেষ দেখা হলো বাপ-বেটার। এদিকে, আমিনা বেগমের ছেলে আট মাস ধরে কারাগারে বন্দি। ভবনের ছাদে উঠে অনেকের মতো তিনিও ছেলেকে ইশরায় ডাকেন, চেষ্টা করেন কিছু বলার। কিন্তু মায়ের কান্না মিশ্রিত ধ্বনি অতদূরে যায় না।

খুলনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাথে স্বজনদের দেখাশোনা আর কথা হয় এভাবেই। স্বজনের কণ্ঠ শোনার সৌভাগ্য হয় না কারাবন্দিদের। ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করেন মনের আকুতি। কারাগারের ভেতরে থাকা অনেকে হয়তো জানেই না তার খোঁজে এসেছে কেউ। পাশের ভবনে উদগ্রীব অপেক্ষায় তারই আপনজন।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না জেল কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলছেন, জেলখানার বন্দিদের ১৫দিন পর পর দেখার সুযোগ থাকলেও করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে তা স্থগিত। স্বজনদের সাথে বন্দিদের কথা হয় ফোনে।

ধারণ ক্ষমতা যেখানে ৬৭৮ সেখানে খুলনা জেলা কারাগারে কয়েদি ও হাজতি ১২০০ এর বেশি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply