দর্শকদের প্রত্যাশা মেটাতে পারল না রাজকুমার রাও অভিনীত সিনেমা ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’। শুধু রাজকুমারের সিনেমাই নয়, বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাপসী পান্নু অভিনীত সিনেমা ‘সাবাশ মিঠু’ও। ভালো বাজেট, পছন্দসই কাস্টিং, রুচিশীল গল্প ও ভালো মেকিং সত্ত্বেও কেন ভালো ব্যবসা করতে পারলো না বলিউডের সিনেমাগুলো?
বক্স অফিসে এখন দক্ষিণী সিনেমার দাপট। তা ইতোমধ্যেই মেনে নিয়েছেন বলিউডের অনেক পরিচালক ও প্রযোজকরা। কিন্তু তাই বলে দক্ষিণী সিনেমার রিমেক করলেই তো আর বক্স অফিসকে হাত করা যায় না! পরিচালক শৈলেশ কোলানু তাই রাজকুমার রাও, সানিয়া মালহোত্রার মতো দারুণ অভিনেতাদের সঙ্গে নিয়েও জমাতে পারলেন না ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’। গত ১৫ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’। মুক্তির প্রথম দিনে মাত্র ১ কোটি ৩৫ লাখ রুপি ব্যবসা করতে পেরেছে সিনেমাটি। ২য় ও ৩য় দিনে এর আয় যথাক্রমে ২.১ কোটি রুপি ও ৩.৩৬ কোটি রুপি।
একই নামে তেলেগু সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল ২০২০ সালে। মুক্তির পর মুখে মুখে অল্প দিনেই জনপ্রিয় হয়েছিল সেই সিনেমা। তখনই পরিচালক শৈলেশ কোলানু ঠিক করে ফেলেছিলেন এই সিনেমার হিন্দি রিমেক বানাবেন। তবে বলিউড সিনেমার চিত্রনাট্যে এনেছেন কিছু পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনেই যেন সব গণ্ডগোল হয়ে গেল!
সিনেমাটি থ্রিলার ঘরানার বলে এর গল্প বলা একেবারেই উচিত নয়। শুধু এটুকু বলা যায়, একটি মেয়ের হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই গল্প এগিয়ে চলে। আর এই গল্পে প্রচুর টুইস্ট।
‘হিট: দ্য ফার্স্ট কেস’ সিনেমার সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্টই হলো, সিনেমা শুরু হয় একভাবে আর এগিয়ে চলে আরেকভাবে। সব মিলিয়ে গল্প বোঝা দর্শকদের কাছে একটু কঠিন মনে হয়েছে।
তবে এই সিনেমার ভালো দিক হল অভিনয়। রাজকুমার রাও আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি যে কোনো চরিত্রেই দারুণ। তবে আসল গণ্ডগোল হল চিত্রনাট্য নিয়েই। কারণ, বেশি টুইস্ট আনতে গিয়ে গল্পকে একাধিক দিকে নিয়ে গেছেন পরিচালক; যা সিনেমার শেষে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, একইদিনে মুক্তি পায় আরও একটি বলিউড সিনেমা ‘সাবাস মিঠু’। সিনেমাটিতে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজের জীবনের কাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমায় মিতালি রাজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নু। সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারে কোনো কমতি রাখেনি পরিচালক সৃজিত মুখার্জী ও অভিনেত্রী তাপসী।
তবে মুক্তির প্রথম দিন সিনেমার বক্স অফিস কালেকশন মাত্র ৪০ লাখ রুপি। তবে এর জন্যে অনেকেই দুষছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জীকে। দুর্বল ছিল চিত্রনাট্য; সাথে অহেতুক সঙ্গীত বাহুল্য! গোটা সিনেমাতে কোথাও ‘সৃজিতীয়’ চমক ছিল না বললেই চলে।
তবে সিনেমাটি ক্রিকেটপ্রেমীদের আবেগপ্রবণ করে তুলবে। প্রায় ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের সিনেমাটিতে ক্রিকেটের প্রতি মিতালির ভালোবাসা এবং কোচ সম্পাথের সাথে তার প্রশিক্ষণ দেখে ভালো লাগবে সবারই। কিন্তু চলচ্চিত্রের গতি সবার মনোযোগ নষ্ট করে দেয়। এ কারণেই তাপসী পান্নু ভালো কাজ করা সত্ত্বেও মিঠু অ্যাডভেঞ্চার তৈরিতে পিছিয়ে পড়ে। সেটা ক্রিকেট ম্যাচই হোক, কিংবা মিতালির জীবনের কোনো ঘটনা। শুধু তাপসী নয়, মাঝে আর শেষের দিকে যারা ব্যাট করেছে তারা কেউই ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। আর তাই, সিনেমার রেটিং মাত্র থ্রি স্টার।
আরও পড়ুন: ২০ বছরের সম্পর্ককে পূর্ণতা দিয়ে জেনিফার লোপেজ-বেন অ্যাফ্লেকের বিয়ে
/এম ই
Leave a reply