চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এর মধ্যে মূল হোতা আজিম ও বাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তাদের আজীবন বহিষ্কার করেছে। আর বাকি যে দু’জন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চবি প্রশাসন।
তবে সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া সাইফুলের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানানো হয়নি। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকেই র্যাব সাইফুলকে গ্রেফতার করে। তবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মূল হোতা আজিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর বাবু নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। গ্রেফতার শাওন ও মাসুদ দুজনই হাটহাজারী কলেজের ছাত্র। ধরা পড়া সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও জানিয়েছে র্যাব। রাউজান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে দুটি মোটরসাইকেল ও তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার পথে এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে মারধর এবং ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন প্রক্টরের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে রুবেলের দাবি, তিনি ওই ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা নয়, বরং সহযোগিতা করেছেন। ইতোমধ্যে রুবেলকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
/এডব্লিউ
Leave a reply