ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দিনদিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কের ত্রিশাল অংশ এখন রীতিমতো হয়ে উঠেছে দুর্ঘটনার হটস্পট। গত এক বছরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শুধু ত্রিশাল অংশেই প্রাণ হারিয়েছে অর্ধ শতাধিক মানুষ। সম্প্রতি ট্রাক চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হওয়া ও সেখানে মৃত মায়ের পেট থেকে জন্ম নেয়া শিশুর ঘটনা হৈচৈ ফেলে দেয় দেশজুড়ে। কিন্তু তাতেও টনক নড়ছে না মহাসড়ক নিরাপদ রাখা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।
ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য বলছে, ময়মনসিংহে গত একবছরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২৫টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৬৬ জনের, আহত হয়েছেন ৬৮৭ জন। এরমধ্যে শুধু ত্রিশালেই ঘটেছে ১২৯টি দুর্ঘটনা।
এনিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ময়মনসিংহ বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, অনেক সময় গাড়ি চালাতে চালাতে ড্রাইভাররা ঘুমিয়ে পড়েন বা ঘুম চোখে গাড়ি চালান। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই চালকদের ফিটনেস থাকতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ট্রাফিক আইন মেনে চললে এবং জনগণ সচেতন হলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, উপজেলা পর্যায়ে সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করে একটি স্থায়ী সমাধানে আসা যায়, সে লক্ষ্যে কার্য পরিচালনা করা হবে।
এদিকে চালকদের আইন মানাতে ব্যর্থতার দায় নিলেন পরিবহন নেতারা। ময়মনসিংহের মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বলেন, প্রশাসন বহু চেষ্টা করলেও আমরা যারা লোকাল রাজনীতিবিদ আছি তারা তাদের সাহায্য করি না। বরং এ নিয়ে কথা উঠলেই ‘ম্যানেজ করে’ চালানোর কথা বলা হয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় এবং ভুক্তভোগীরা বলছেন, রোড ডিভাইডারের কাটা অংশ দিয়ে রাস্তা পারাপার, পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল এবং সাধারণ মানুষের অসচেতনভাবে পথ চলাই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। তাই আইনের আরও কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তারা।
এসজেড/
Leave a reply