বরগুনায় চার বছর পর ফের ডাকাতি সমুদ্রের ফিশিং ট্রলারে, আতঙ্কিত জেলেরা

|

বরগুনা প্রতিনিধি:

দীর্ঘ চার বছর পর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ উপকূলের জেলেরা। দ্রুতই র‍্যাব ক্যাম্প বসানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে মৎস্য ব্যবসায় ব্যাপক ধস নামবে বলে আশঙ্কা জেলেদের।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বরগুনার পাথরঘাটায় সমুদ্রে গণ ডাকাতি চালিয়ে জেলেদের উপর হামলা ও মাছসহ সমস্ত রসদ সামগ্রী লুটপাটের অভিযোগ এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সমুদ্রে ডাকাতি বাড়লে মৎস্য ব্যবসায় ধস নামবে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুন্দরবনে র‍্যাব ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান বরগুনার পাথরঘাটার ফিশিং ট্রলারের মাঝি হোসেন মিয়া। এ সময় রাতে অপর একটি ট্রলারযোগে ২০ থেকে ২৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল তাদের ট্রলারে হামলা চালায়। ট্রলারে থাকা সকল জেলেদের বেধড়ক মারধর করে মাছ ও তেলসহ সকল সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় তারা। আহত অবস্থায় হোসেন মাঝি এখন ভর্তি আছেন পাথরঘাটা হাসপাতালে।

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ মৌসুমকে কেন্দ্র করে ট্রলার মালিক আব্দুল্লাহ ধারদেনা করে সাড়ে তিন লাখ টাকার বাজার দিয়ে সমুদ্রে পাঠায় ফিশিং ট্রলারটি। সেই ট্রলারে ডাকাতি হওয়ায় এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। তার ব্যবসা এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ট্রলার মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, ট্রলারে ডাকাতি হওয়ায় এখন আমি নিঃস্ব। ডাকাতের ভয়ে জেলে-মাঝিরাও এখন আর সাগরে যেতে চাইছে না। সরকার এখানে কোনো পদক্ষেপ না নিলে মৎস্য ব্যবসায় ব্যাপক ধস নামবে বলে আশঙ্কা তার।

দেশের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বি এফডিসি পাইকারী বাজার বরগুনার পাথরঘাটাতে হওয়ায় এখানেই বেশিরভাগ ট্রলারের মাছ বিক্রি হয়। ডাকাতির খবরে এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডাকাতি বন্ধ না হলে ধ্বংস হয়ে যাবে তাদের মৎস্য ব্যবসা। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

ইতোমধ্যেই র‍্যাবের একটি দল পাথরঘাটায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সাথে কথা বলেছেন। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণার পর তারা ভালোই ছিলেন। এমন ডাকাতি গত চার-পাঁচ বছরে আর কখনোই হয়নি। কিন্তু এখন আতঙ্কিত জেলেরা আর সমুদ্রে যেতে চাইছে না। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুন্দরবনে র‍্যাবের ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তাদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply