আজ বাংলাদেশি ব্যান্ডের কালজয়ী গায়ক ও পপগুরু আজম খানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী।
২০১১ সালের আজকের দিনে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এ শিল্পী। বাংলাদেশে পপসঙ্গীতের যাত্রা হয় তার হাত ধরেই। এবং জনপ্রিয়তাও আসে।
শুধু পপগুরু হিসেবেই পরিচিত নন তিনি, তার অন্যতম প্রধান পরিচয় তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে সরাসরি দেশ স্বাধীনের জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটি সেকশনের ইনচার্জ। তিনি সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর তার ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’ দেশব্যাপী সঙ্গীত জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৯৭২ সালে বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেককে ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে অনুষ্ঠান শুরু করেন। ওই বছরই তার জনপ্রিয় গান ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচার হলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
পরবর্তীতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গানটি গেয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’ ইত্যাদি।
গানের বাইরে অভিনয়ও করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ‘কালা বাউল’ নামে একটি নাটকে এবং ২০০৩ সালে শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘গডফাদার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৩ সালে প্রথম বিজ্ঞাপনের মডেল হন। পরবর্তীতে আরও কিছু বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাকে।
Leave a reply