খুলনা ব্যুরো:
মাত্র ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে ৬ জনের পকেট থেকে এক এক করে খোয়া যায় দামি মোবাইল ও মানিব্যাগ। প্রতিটি মানিব্যাগেই ছিল টাকা। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ন এলাকায় এমন এক ‘ম্যারাথন পকেটমার’ এর ঘটনাটি এলাকায় যেমন হাস্যরস সৃষ্টি করেছে তেমনি সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, থানার ওসিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্নও তুলেছেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে কপিলমুনি বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন। এ সময় সেখানে সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর কয়েকজন তাদের পকেটে হাত দিয়ে আক্কেলগুড়ুম হয়ে ওঠেন।
স্বল্প সময়ের মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি যুগল কিশোর দে’র পকেট থেকে ১ হাজার ৮শ, কপিলমুনির স্থানীয় সাংবাদিক তপন পালের ৫ হাজার, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারের ৯ হাজার টাকা পকেটমার হয়ে যায়। ওই সময়ই কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি আবদুর রাজ্জাক রাজু ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর মোবাইল ফোন খোয়া যায়।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের স্থির চিত্র সংগ্রহ করে দেখা যায়, মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি যুগল কিশোর দে’র পকেটে হাত দিয়েছে। ছবিতে আওয়ামী লীগ নেতার পাশে যাদেরকে দেখা গেছে তাদের কারো মানিব্যাগ ও মোবাইলফোন উধাও হয়ে গেছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পকেটমার এতো সুকৌশল সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে যে, সামনে দাঁড়ানো থানার ওসিও ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারেননি যে পকেটেমার হচ্ছে।
স্থানীয়রা তাদের প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটিকে ‘ম্যারাথন পকেটমার’ বলে অভিহিত করেছেন। পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এতো ভিড়ে পকেটমার হয়েছে যে, কেউ বুঝতে পারেনি।
তিনি জানান, মুখে মাস্ক থাকায় তাৎক্ষণিক ব্যক্তিকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতি পেশাদার এই পকেটমারের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলা এলাকায়। তাকে আটকে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
জেডআই/
Leave a reply