২০১৪ সালের ২৬ জুন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী খোকন নন্দী। আট বছর ধরে তার মরদেহটি রয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ফ্রিজারে। লাশটি দাফন বা সৎকার কবে হবে, তা জানে না কেউ। কারণ, খোকন নন্দী ২য় বিয়ে করে মুসলিম হয়েছিলেন কিনা, সেই প্রশ্নের সমাধান ঝুলে আছে আদালতে।
তবে খোকন নন্দী যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হাবীবা আখতারকে ২য় বিয়ে করেছেন তার প্রমাণ আদালতে দাখিল হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ ইনচার্জ সেকান্দার আলী বলেন, এখনও কোর্টে দুই স্ত্রীর মামলা চলতেছে। কোর্টের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। দীর্ঘদিন মর্গে থাকায় লাশ একটু শুকিয়ে গেছে। তবে আমরা যতটা সম্ভব ভালো রাখার চেষ্টা করছি।
খোকন নন্দীর ২য় স্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী হাবীবা অসবরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, খোকনের ভাই বাবুল নন্দী ও প্রথম স্ত্রী মিরা নন্দী সম্পদের সম্পূর্ণ ভাগ পেতে মামলা নিষ্পত্তি না করে নানা কৌশলে দীর্ঘসূত্রতা করছে। হাবীবার দাবি, তার মৃত্যু হলে সম্পদের পুরোটাই নির্বিঘ্নে ভোগদখল করতে পারবে বাবুল ও মিরা নন্দী।
যমুনা টেলিভিশনকে ফোনে তিনি বলেন, আমার কষ্ট লাগে, আজকে আটটা বছর হয়ে গেল কিন্তু আমি বিচার পাচ্ছি না। এভাবে একটা লাশ পড়ে থাকতে পারে না।
তবে বাবুল নন্দীর দাবি, তার ভাই খোকন নন্দী দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। ২য় স্ত্রীর দাবিদার হাবীবা যে কাবিননামা আদালতে উপস্থাপন করেছেন সেটা সঠিক নয়। সাক্ষী ও ডকুমেন্টস ঠিক নেই বলেও দাবি করেন বাবুল।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, দেওয়ানী মামলা স্বভাবতই দীর্ঘ হয়। তবে আইনজীবীদের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে এ সমস্যার সমাধান খুব সহজ।
তিনি আরও বলেন, দুই পরিবারকে রেষারেষি থেকে বেরিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশটি দ্রুত দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থা করা উচিত।
জেডআই/
Leave a reply