বাড়তি দামেই স্থির হয়ে আছে রাজধানীর ডালের বাজার

|

ছবি: সংগৃহীত।

চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল আগে থেকেই। ডালের বাজারেও যুদ্ধ আর ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়েছে। বাড়তি দামেই স্থির হয়ে আছে রাজধানীর ডালের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমলেও ভোক্তারা বলছেন, এই দাম এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, টিসিবিও ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে মসুরের ডাল বিক্রি করলেও নিম্নআয়ের সবাই তা সংগ্রহের সুযোগ পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে ডাল আমদানিতেও।

নিম্ন ও মধ্যবিত্তের প্রায় প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আছে ডাল। অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও অন্তত ডাল-ভাত খেয়ে দিনাতিপাত করতে পারতেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে সেই ডালের দামও বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম ৫ টাকা কমেছে। তবে ভোক্তারা বলছেন, দাম কমলেও ডালের দাম এখনও নাগালের বাইরে।

রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। আর চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। মান ভেদে মুগ ডালের কেজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, ছোলার ডালের কেজি ৮০ টাকা। খুচরা দোকানীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে এখনও দাম কমেনি।

পাইকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, যুদ্ধের কারণে ডাল আমদানিতে কিছুটা গতি কমেছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দর কিছুটা পড়তির দিকে। তাদের অভিযোগ, অনেক সময় খুচরা দোকানীরাও কিছুটা বাড়তি দরে বিক্রি করে থাকে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ডাল আমদানি কিছুটা ব্যহত হয়েছে। দেশে ডালের চাহিদা ২৫ লাখ টন হলেও বছরে উৎপাদন হয় প্রায় দশ লাখ টন। প্রতিবছর আমদানি করতে হয় প্রায় ১৫ লাখ টন ডাল।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply