মৎস্য উৎপাদনে দেশে ফের দ্বিতীয় অবস্থানে কুমিল্লা

|

দেশের মধ্যে মৎস্য উৎপাদনে এবারও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার টন, যা চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৪৭ হাজার টন বেশি। উৎপাদন বেশি হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে মাছ। লছেন, খামারীদের প্রয়োজন অনুসারে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সোহাগ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের পরিচালক সাজ্জাদ আহমেদ বলেন, বছরে আমরা ১০০ থেকে ১ হাজার টন মাছ উৎপাদন করে থাকি। লাকসামের পাশাপাশি নোয়াখালি ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত আমরা মাছ সরবরাহ করি।

তবে মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তিত খামারীরা। তারা বলছেন, সরকারের তদারকি বাড়ানো উচিত। এই খরচটা বাঁচলে মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে মাছগুলো পৌঁছে দিতে এবং আরও ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারবেন বলে জানান খামারীরা।

জেলায় ৫১ হাজার ৬১৯ হেক্টর জলাভূমি ও ৮৪ হাজার ৪২৮টি পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে। এর সাথে যুক্ত আছে সাড়ে ২৫ হাজার শ্রমশক্তি। আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন তারা। স্থানীয় মৎস্য অফিস বলছে, মাছের চাষ বাড়াতে খামারীদের পাশে আছে কর্মকর্তারা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খামারীদের প্রশিক্ষণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যারা রেনু উৎপাদনে জড়িত তাদের আমরা কার্ভ জাতীয় মাছের গুণগতমানে কীভাবে রেনু উৎপাদন করা যায় সে বিষয়েও আমরা প্রশিক্ষণ করিয়ে থাকি।

সাতটি সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ও ৫৭টি বেসরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে গত অর্থ বছরে পাঁচ লাখ কেজি রেনু উৎপাদিত হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন নার্সারী থেকে আড়াই হাজার লাখ পোনা উৎপাদন করা হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply