প্রথম দেখায় মনে হতে পারে আবাহানী মাঠে বোলিং করছেন ভারতীয় তারকা জাসপ্রিত বুমরাহ। তবে সেই ভুল ভাঙতে সময় লাগবে না। মূলত, বুমরাহর আদলেই বোলিং করেন তরুণ বাংলাদেশি পেসার নাঈমুর রহমান রিজয়। কেবল অনুকরণই নয়, বাউন্সার এবং ইনসুইংয়ে প্রতিপক্ষের অস্বস্তির নামও তিনি।
রিজয় একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ক্রিকেটের সাথে বেঁধেছেন ভালোবাসার বন্ধন। পরিবার ছেড়ে ঢাকায় থাকছেন ব্যাট-বলের নেশায়। ২০১৩ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সেই বুমরাহ’র বোলিং অ্যাকশন ভালো লেগে যায় রিজয়ের। এরপর থেকেই শুরু হয় নিজেকে স্বপ্নের বোলারের মতো তৈরির প্রক্রিয়া।
ইনডোর ক্রিকেট একাডেমির বোলার রিজয় বলেন, বুমরাহ যখন প্রথম আইপিএল খেলে তখন আমার বয়স ছিল ৯। তখন তার বল দেখে আমার ভালো লাগে। সেই সময় থেকেই টেনিস বলে তার মতো বোলিং করার চেষ্টা করি। তখন অ্যাকশন তো এতো বুঝতাম না। পরবর্তীতে অ্যাকশন আর চেঞ্জ করা হয়নি।
রিজয়ের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি। লেন্থ-লাইন ঠিক রেখে বল করতে পারেন দীর্ঘ সময়। ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশনের সাথে ইনসুইং ও বাউন্সারে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে রিজয়ের। এখন অপেক্ষায় অনূর্ধ্ব ১৮ ক্যাম্পে ঢাকা মেট্রোর হয়ে মাঠে নামার।
রিজয় বলেন, বয়সভিত্তিক খেলার জন্য আমি প্রস্তুত আছি। থার্ড ডিভিশনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এসেছি। সেখানে আমি ভালোই করেছি। দেখি আগামীতে সেকেন্ড ডিভিশন অথবা থার্ড ডিভিশনের কোনো টিমে খেলবো।
ক্রিকেট অত্যন্ত ব্যয়বহুল খেলা। নিজেকে গড়তে প্রতিনিয়তই চোখ রাঙানি দিচ্ছে অর্থ। তাও সব প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে নিজের লক্ষ্যে অবিচল এই তরুণ। বলেন, একটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলতেই ৫০০-৬০০ টাকা চলে যায়। যে বলগুলো আছে সেগুলোর দাম ৫০০-৬০০ টাকা। এক মাসে ২-৩টি বল চলে যায়। এগুলো বহন করা একটু কষ্টকর।
মূলত মায়ের প্রেরণাতেই এগিয়ে চলছে রিজয়। এখন তার লক্ষ্য, ভালো কিছু করে মায়ের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়া। বোলিংয়ে রিজয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র একই জায়গায় বারবার বল করে যাওয়া। বাড়তি উচ্চতার কারণে বাউন্স ও সুইংয়েও তার রয়েছে ভালো দখল। তার বিশ্বাস, জাতীয় কোচের অধীনে দীর্ঘদিন অনুশীলনের মাধ্যমে দেশকে ভালো কিছু দেয়ার সামর্থ্য আছে তার।
জেডআই/
Leave a reply