‘সোনালী আশেঁ ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর’ এই শ্লোগানে পাটকে ফরিদপুর জেলার ব্র্যান্ড ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। দেশ বিদেশের পাটকলে এই অঞ্চলের পাটের সুনাম আছে। অথচ সেই পাট নিয়েই এবছর বিপাকে পরেছেন ফরিদপুরের চাষীরা। পানি অভাবে জাগ দিতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব সোনালী আঁশ। বিকল্প পদ্ধতিতে জাগ দেয়ায় খরচও বাড়ছে। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে মান।
চাষীরা বলছেন, কোথাও জাগ দেয়ার মতো পানি নেই। গর্ত করে পলিথিন ও মাটি দিয়ে পাট রেখে তাতে স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে পাট পঁচানোর চেষ্টা করছেন চাষীরা। এতে পাটের রং ও মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পাটের বাজারদর এবার ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা হওয়ার কথা ছিল। তাতে কৃষকের হাতে থাকার কথা ছিল ৪০০-৫০০ টাকা। কিন্তু বাড়তি খরচের জন্য এখন কোনো লাভই থাকছে না বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা।
জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ হাজার হেক্টর হলেও এবছর আবাদ হয়েছে ৮৮ হেক্টর জমিতে। যার প্রায় অর্ধেক পাট ইতিমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে। মণ প্রতি পাটের দাম অন্তত ৪ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এসজেড/
Leave a reply