পড়াশোনায় মন ছিল না ছেলের। শাসন করেছিলেন মা। তাতেই অভিমান করে আত্মহত্যা করলো সন্তান। ঘটনাটি সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার। গোটা জেলাতেই এখন একই চিত্র। বেড়েই চলেছে এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা। পারিবারিক-সামাজিকসহ নানা কারণে অল্প বয়সীরাই বেছে নিচ্ছে আত্মহনের পথ। বাদ যাচ্ছে না মধ্যবয়সী, এমনকি বৃদ্ধরাও।
৬ মাসে লক্ষ্মীপুরে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন ৭২ জন। পারিবারিক-সামাজিকসহ নানা কারণে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান বিশিষ্টজনদের।
এসব ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। বিশিষ্টজনদের মতে, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে এগিয়ে আসতে হবে। লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইউসুফ হোসেন বলছেন, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে স্কুল-কলেজ, ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়াতে হবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম। সেই সাথে, ইন্ধনকারীদের নিয়ে আসতে হবে আইনের আওতায়। একই কথা বলছেন পুলিশ লক্ষ্মীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথও। তিনিও মনে করছেন, আত্মহত্যার মহামারি নিয়ন্ত্রণে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।
পুলিশের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুরে গত ৬ মাসে আত্মহত্যা করেছে ৭২ জন। এর মধ্যে রায়পুরেই বেশি।
/এডব্লিউ
Leave a reply