খরায় পুড়ছে নীলফামারীর আমন ক্ষেত, কৃষকের মাথায় হাত

|

খরায় পুড়ছে উত্তরের খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা নীলফামারীর আমন ক্ষেত। ফসলের জমি ফেটে হয়েছে চৌচির। কৃষকের অভিযোগ সার, ডিজেল আর ক্ষেত মজুরের দাম বেড়ে যাওয়ায় উঠেছে তাদের নাভিশ্বাস। রোপার গোছা পরিপূর্ণ না হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা। এর মধ্যে ক্ষেত ভরে গেছে আগাছায়। এতে গুণতে হবে লোকসান। ডিজেলচালিত শ্যালো আর বিদ্যুৎচালিত মটরের সাহায্যে সেচ দিয়ে ফসল বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা কৃষকের।

বর্ষার ভরা মৌসুম আষাঢ় শ্রাবণে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে কৃষক। পাশাপাশি ইউরিয়া, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি আর ক্ষেতের আগাছা নিড়ানিতে বাড়তি খরচের ধকল সামলাতে দিশেহারা কৃষক। এ কারণে এবার ফলনে বিপর্যয়ের শঙ্কা কৃষকদের। কৃষকরা বলছেন, ডিজেল, সার ও কৃষি শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে উৎপাদন খরচ।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি আবু বক্কর সিদ্দিকও জানালেন একই কথা। এই কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, এবার তুলনামুলক কম বৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া চারাও রোপণ করা যায়নি উপযুক্ত সময়ে।

এবার নীলফামারী জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে ১ লাখ হেক্টর জমিতে। আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৪৩১ মিলিমিটার।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply