২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় খুনি রশিদ ও ডালিম দেশেই ছিল: প্রধানমন্ত্রী

|

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ ও ডালিম ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার সময় বাংলাদেশেই অবস্থান করছিল; এমন তথ্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলার পর বিএনপি সরকারের মদদে তারা দেশও ত্যাগ করে বলে জানান তিনি। ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও আঘাত আসতে পারে। তাই দেশবাসীকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২১ আগস্ট) আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতেই ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে দলের সাধারণ সম্পাদককে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানান।

আনুষ্ঠানিকতার পর আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তৎকালীন সরকারের মদদেই হয়েছিল নৃশংস গ্রেনেড হামলা। শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় এই চক্রান্তের সাথে কর্নেল রশিদ এবং ডালিম বাংলাদেশে ছিল। খালেদা জিয়া তাদেরকে পরে দেশ ছেড়ে চলে যেতে সাহায্য করে। তারা ভেবেছে অপারেশন সাকসেসফুল। আমি রক্তাক্ত অবস্থায়, অর্থাৎ আমি তো আর নাই। পরে যখন দেখেছে আমি মরি নাই, বেঁচে আছি; তখনই তারা ভেগে গেছে।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়া তো দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও কোনোদিন হতে পারবে না। এসব বক্তৃতার রেকর্ড আছে। এই বক্তৃতা সে আগাম দিলো কীভাবে যে, বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবো না? তার মানে আমাকে হত্যা করবে। এই পরিকল্পনা তারা তখন করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে বিএনপি সরকার আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই ঘটনার ওপর আলোচনা করতে চাইলাম, তারা দিলো না। আমি বিরোধী দলের নেতা হিসেবে কথা বলতে গেলাম; আমার মাইক বন্ধ করে দেয়া হলো। এবং খালেদা জিয়া বলে দিলো, উনাকে আবার কে মারতে যাবে! উনি তো নিজেই গ্রেনেড নিয়ে গেছে। নিজেই গ্রেনেড হামলা করেছে। মানে, আমি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলাম আত্মহত্যা করতে, এটিই হচ্ছে তাদের কথা।

হত্যা এবং খুনের সাথে যারা জড়িত তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সে বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের সাথে বসতে হবে, তাদের সাথে কথা বলতে হবে, তাদের খাতির করতে হবে, তাদেরকে ইলেকশনে আনতে হবে; এত আহ্লাদ কেন বুঝি না! বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে যে, একটু জায়গা দেয়া যায় কিনা। জায়গা দেয়া যায় কি যায় না তার সিদ্ধান্ত দেবে জনগণ।

আবারও আঘাত আসতে পারে; তাই দেশবাসীকে সর্তক থাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আবার জাতির পিতার নাম বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। এগুলো যারা সহ্য করতে পারছে না তারা বসে থাকবে না। তারা আঘাত করবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ২১ আগস্টের হামলা হতো না: প্রধানমন্ত্রী

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply