ঠাকুরগাঁওয়ের হিমাগারে নষ্ট হচ্ছে আলু, কৃষকদের প্রতিবাদ

|

প্রতিবাদরত ঠাকুরগাঁওয়ের আলুচাষীরা।

হিমাগারে রাখা সংরক্ষিত পঁচা আলুর ক্ষতিপূরণ ও ভাড়া কমানোর দাবিতে গত প্রায় চার মাস ধরে আন্দোলন করছে ঠাকুরগাঁওয়ের আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসলেও কোনোপক্ষের সহায়তা মিলছে না। হিমাগার মালিক সমিতি বলছে, কৃষকদের জিম্মি করে একটি মহল এ আন্দোলন করছে। আর দুই পক্ষকে সমাধানের পথে নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

হিমাগারে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে আলু চাষীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে গত প্রায় চারমাস ধরে। চাষীদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে পঁচানো হচ্ছে ফসল। ১০০ বস্তা আলু হিমাগারে রাখলে ৮০-৮২ বস্তা আলু ফেরত দেন হিমাগার মালিকরা। এমনকি রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও মুন্সিগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজগুলোয় বস্তাপ্রতি ২২০ টাকায় আলু সংরক্ষণ করা গেলেও ঠাকুরগাঁওয়ে গুনতে হচ্ছে ২৬০-৩৪০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন হিমাগার ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থার জন্য চাষী ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিকে দুষছেন তারা।

হিমাগার মালিক হাবিবুল ইসলাম বাবলু বলেন, প্রতি কেজি আলু রাখতে ভাড়া রাখা হয় ৫.২০টাকা। সে হিসেবে ভাড়া আসে ৩০০ টাকার ওপরে, সেখানে ঠাকুরগাঁও জেলায় আমরা ২৬০ টাকা রাখছি। ৫০ কেজি মাল থাকার কথা থাকলেও ৬০-৬৫ কেজি করে মাল রাখা আছে।

ঠাকুরগাঁও হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ঘটনা তো অন্য জায়গায়। কী করে বাজার থেকে দাম কমাবে এবং কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে নেবে এটাই তাদের কৌশল। কৃষকদের বন্ধু সাজতে তারা সংগঠনও তৈরি করেছে।

এদিকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের দিক থেকে যা করণীয় তা আমরা করছি। আমরা চাই যে দুইপক্ষই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে যাক। তাদের যেভাবে সুবিধা হয় তারা সেভাবেই চিন্তা করছে।

প্রসঙ্গত, জেলার ১৬টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন। এ বছর সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply