বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য, পাল্লা দিয়ে কমছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা

|

পণ্যমূল্য বেড়েই চলেছে, আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এই অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারে এর সুফল পেতে, তদারকি বাড়ানো হচ্ছে। চলছে নিম্নবিত্তদের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিক্রি কার্যক্রম।

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সেবা; সবক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৈশ্বিক অর্থনীতির টানাপোড়েনের কারণে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। অর্থাৎ পণ্যের প্রকৃত যে দাম, তার চেয়ে বেশি দামে কিনছে ভোক্তা। সবশেষ তথ্যনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৫৬ ভাগ। কিন্তু খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারও আরও বেশি, ৮ দশমিক ৩৭ ভাগ। অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করছেন, আগামীতেও এ হার ঊর্ধ্বমুখি থাকবে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির কথা স্বীকার করলেন খোদ পরিকল্পনামন্ত্রীও। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, বর্তমান হারের চেয়ে বাড়বে অর্থনীতির এই সূচক। তবে দামের উত্তাপ থেকে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের সুরক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। নিম্নবিত্তদের জন্য স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি ছাড়াও বাজার ব্যবস্থায় নজরদারি আনা হয়েছে বলেও জানালেন মন্ত্রী।

তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে কমছে পণ্যমূল্য। কম দামের পণ্য দেশে এলে তার সুফল মিলবে। পণ্য আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ শুরু করেছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply