সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ২৩ দিনের মাথায় লিটার প্রতি পাঁচ টাকা কমিয়ে সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। যা কার্যকর হয় রাত বারোটার পর থেকেই। তবে নামমাত্র মূল্য সমন্বয়ে খুশি হতে পারছেন না গ্রাহকরা। তাদের দাবি, এতে জীবনযাত্রায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকেই গুঞ্জন ওঠে সমন্বয় হচ্ছে বর্ধিত জ্বালানি তেলের দাম। পরে রাত দশটার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ২৩ দিনের মাথায় লিটারে কমানো হয় পাঁচ টাকা। যা কার্যকর হয় রাত বারোটা থেকেই।
নতুন মূল্যে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকার বদলে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০৯ টাকায়। পেট্রোল ১৩০ টাকার বদলে ১২৫ টাকায়, অকটেন ৫ টাকা কমে মিলেছে ১৩০ টাকায়। রাজধানীর বিভিন্ন পাম্পে বারোটার পর থেকেই নতুন মূল্যে তেল নেন গ্রাহক।
এ মাসের ৬ তারিখ হঠাৎ করেই থেকে ৪০ থেকে ৫১ শতাংশ হারে বেড়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। এরপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে থাকলেও সেটি আবারও ঊর্ধ্বমুখী। তারপরেও লিটারে ৫ টাকা কমলো দাম। একে স্বাগত জানালেও এর সুফল আদৌ পাওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম কমলে আবারও সমন্বয় করা হবে দাম। সেই দিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।
/এডব্লিউ
Leave a reply