জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন; পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের

|

ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর প্রতিনিধিদের ইউক্রেনে স্বাগত জানালেও তাদের তদন্তে মস্কো প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা ওয়াশিংটনের। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, বিশেষজ্ঞদের কাজে নাক গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইউক্রেনেরই জন্যই আত্মঘাতি হতে পারে। খবর অ্যাসোসিয়েট প্রেসের।

সম্প্রতি স্যাটেলাইটে তোলা জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের কিছু ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। কোথাও গবেষণাগারের ছাদে আঘাত হেনেছে রকেট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জ্বালানি সরবরাহ লাইনের মতো সংবেদনশীল অংশও। এমন হামলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং বিকিরণ ছড়ানোর আশঙ্কায় গত বেশ কিছুদিন ধরেই জাতিসংঘের আনবিক শক্তি সংস্থার প্রতিনিধিদের কেন্দ্রটিতে তদন্ত চালানোর দাবি উঠেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনে পৌছেছেন আইএইএ এর বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রটিতে প্রবেশ করবেন তারা।

আইএইএ এর প্রতিনিধিদের মস্কো স্বাগত জানালেও তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া। ওয়াশিংটন বলছে, সংস্থার বিশেষজ্ঞদের তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে রাশিয়া। আর মস্কোর দাবি, আইএইএ কে প্রভাবিত করছে পশ্চিমা শক্তি।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, আইএইএ এর গবেষকরা পেশাদার। তাদের কাজে অন্য কোনো পক্ষের নাক গলানো অনুচিত। আমরা জানি যে, এরইমধ্যেই পশ্চিমা অনেক দেশ তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা করলে ইউক্রেনের জন্যই বিষয়টি পুরোপুরি আত্মঘাতিমুলক হবে। পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে যে ফলাফল আসবে সেটিই প্রকাশ করা উচিত আইএইএ এর প্রতিনিধিদের।

অন্যদিকে, মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন- আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, পরমাণু কেন্দ্র কখনও সংঘাতের জায়গায় পরিণত হতে পারে না। অবিলম্বে ওই পরমাণু কেন্দ্র থেকে সব রুশ সেনাদের সরিয়ে সেটিকে বেসামরিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে মস্কোর। এর পাশাপাশি আইএইএ এর প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কাজ এবং তদন্তে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের আলোচিত এ পরমাণু কেন্দ্রটিকে নিয়ে সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দেয়। রকেটের আঘাতে প্ল্যান্টের একটি অংশে আগুন ধরে গেলে বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ। এতে তৈরি হয় মারাত্মক ঝুঁকি। কেননা পরমাণু কেন্দ্রের রিঅ্যাকটর শীতল রাখতে বিদ্যুতের সাহায্যে সবসময় পানি পাম্প করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে অতিরিক্ত তাপে গলতে শুরু করবে পারমাণবিক চুল্লির রড। ফলে ছড়াবে মারাত্মক রেডিয়েশন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply