প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় ফিফা বিশ্বকাপ। ফুটবলের এবারের সর্বোচ্চ আসরটি হচ্ছে রাশিয়ায়। ইতিহাস-ঐতিহ্য, ধনদৌলতের প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্যে ভরপুর দেশটিতে বসছে বিশ্বকাপের ২১তম আসর।
তবে চাইলেই বিশ্বকাপ আয়োজনের টিকিটি পেয়ে যায়নি রাশিয়া। পোড়াতে হয়েছে বহু কাঠখড়। আসতে হয়েছে জটিল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।
কয়েক ঘণ্টা পর মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরবের ম্যাচ দিয়ে উঠছে পর্দা। এ নিয়ে প্রথমবারের মতো পূর্ব ইউরোপে হচ্ছে বিশ্বকাপ। এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল। ১১টি শহরের ১২টি দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামে হবে মোট ৬৪টি ম্যাচ। ১৫ জুলাই একই স্টেডিয়ামে শিরোপার ফাইনালি লড়াই শেষে এই আসরের পর্দা নামবে।
এবারের আসরের স্বাগতিক দেশ নির্ধারণী প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে। ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হতে জাতীয় দলগুলো স্বাগতিক হওয়ার জন্য তাদের আগ্রহ নিবন্ধন করে। প্রাথমিকভাবে ৯ দেশ এই আসরের স্বাগতিক হওয়ার জন্য নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। তবে পরবর্তীতে মেক্সিকো এই কার্যধারা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিল করে দেয় ফিফা। কারণ তাদের সরকার এই নিলামকে সমর্থন প্রদানের চিঠি পাঠাতে ব্যর্থ হয়। এ প্রক্রিয়ায় ৩টি নন-উয়েফা দেশ (অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ক্রমান্বয়ে তাদের নাম প্রত্যাহার করে। অবশেষে এ আসরের নিলামের জন্য মাত্র ৪টি নাম অবশিষ্ট ছিল। তারা হলো ইংল্যান্ড, রাশিয়া, বেলজিয়াম/নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল/স্পেন।
২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর জুরিখে ২২ সদস্যবিশিষ্ট ফিফা নির্বাহী পরিষদ সমবেত হয়ে এ নিলামে স্বাগতিক দল ঠিক করে। ওই নিলামে ভোটের দ্বিতীয় পর্বে রাশিয়া জয়লাভ করে। ফলে বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয় ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
এ নিলামে পর্তুগাল/স্পেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং বেলজিয়াম/নেদারল্যান্ডস তৃতীয় স্থান অধিকার করে। স্বাগতিক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথে ভোটের প্রথম পর্বেই ইংল্যান্ডের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দেশ পর্তুগাল না স্পেন তা পরিষ্কার করেনি ফিফা। একইভাবে তৃতীয় স্থান অধিকারীর নামও গোপন করে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই বেলজিয়াম/নেদারল্যান্ডসকে সেই আসনে বসানো হয়।
Leave a reply