ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ

|

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির।

হলের সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সমস্যা প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেছেন, তোমার কাছে কৈফিয়ত দেবো কেনো? পাশাপাশি ওই সাংবাদিককে হেনস্তা করে রুম থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আশিকুর রহমান শুভ। তবে অধ্যাপক আব্দুল বাছিরের দাবি, বিষয়টি ‘বাড়িয়ে’ বলেছেন ওই সাংবাদিক।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আশিকুর রহমান শুভ যমুনা নিউজকে বলেন, আমি ফোন করে পূর্বানুমতি নিয়ে তার রুমে যাই। রুমে যাওয়ার পরই তিনি আমাকে দ্রুত কথা বলতে বলেন। আমি প্রশ্ন করতেই উত্তরে তিনি আমাকে রাগের সুরে বলেন, তোমাকে কৈফিয়ত দেবো কেনো? পরে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তিনি আমাকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন প্রভোস্ট।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির যমুনা নিউজকে বলেন, ওই ছেলের প্রশ্ন করার ধরন ঠিক ছিলো না। অভদ্রভাবে প্রশ্ন করেছে।

‘কৈফিয়ত দেবো কেনো?’ এমন কথা তিনি বলেননি উল্লেখ করে অধ্যাপক বাছির বলেন, আমি এমন কথা বলিনি। ওই সাংবাদিক বাড়িয়ে বলছেন।

হলে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক বাছির বলেন, হলের মেস ও ক্যান্টিনে ফিল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য ফ্লোরগুলোতে ফিল্টার বসানোর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য হলের তুলনায় বেশি টাকা ফি প্রদান করলেও হলটিতে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির ফিল্টার বসাতে একাধিকবার কমিটি করা হলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। এছাড়া, গত প্রায় ৫ বছর যাবৎ বন্ধ হলের লাইব্রেরিটি। বাইক স্ট্যান্ড তৈরি হলেও সেটিও খোলা হচ্ছে না। পেপার রুম ও গেমসরুম হল ছাত্রলীগের দখলে, যা ব্যবহৃত হচ্ছে ‘গণরুম’ হিসেবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply