মুশফিকের ব্যর্থতাসহ বাংলাদেশের ম্যাচ হারের তিনটি কারণ

|

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে আরও একবার এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের। আগের চার আসরে তিনবার ফাইনাল খেলা দল এবার বিদায় নিলো গ্রুপপর্বেই। তবে হারের দৃশ্য যেন দীর্ঘদিনের চেনা। তীরে এসে তরী ডোবানো।

শেষ ওভারে যাওয়া ম্যাচে ২ উইকেটের হার। যদিও ম্যাচের এক মুহূর্তেও মনে হয়নি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে টাইগাররা। উল্টো শেষ ২ ওভারে শ্রীলঙ্কার যখন ২৫ রান দরকার তখন উইকেটে টেল এন্ডাররা। তবে সেই রানও আটকাতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। তবে, ডেথ বোলিংই শুধু নয়, ম্যাচ হারের রয়েছে আরও কয়েকটি কারণ।

১. উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিম

ব্যাটে রান পাননি মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটারদের কারণে সেই ব্যর্থতা ঢেকে গেছে। তবে, মুশফিক নিদারুণ ব্যর্থতা দেখান বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসে। ১৮৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। তবে ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো লঙ্কানরা। তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ম্যাচে ৬০ রান করা কুশল মেন্ডিস। সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি মুশি। এছাড়া নিশ্চিত একটি আউট রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। উইকেটকিপার হিসেবে রিভিউ নেয়ার জন্য সবচেয়ে সচেষ্ট থাকার কথা তো মুশফিকেরই! তিনি বল ঠিকঠাক তালুবন্দী করতে না পারায় অতিরিক্ত কয়েকটি রানও গুনতে হয় বাংলাদেশকে।

২. ১০ বোলিং অপশন সত্ত্বেও কাজে লাগাতে না পারা

বোলিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ১৮তম ও শেষ ওভার করেন শেখ মেহেদী হাসান। টি-টোয়েন্টিতে একজন অনভিজ্ঞ স্পিনার ডেথ বোলিংয়ের জন্য কখনো ভালো অপশন হতে পারেন না। যদি না তিনি হন রশিদ খান মানের কেউ। এখানেই মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব। অথচ এদিন মুশফিক বাদে বাকি ১০ ক্রিকেটারই ছিল বোলিং অপশনের তালিকায়। অভিজ্ঞ তাসকিন ও মোস্তাফিজকে না রেখে এবাদতকে ডেথ বোলিংয়ের জন্য সাকিব কেন রেখে দিলেন সেটি নিয়েও রয়ে যায় প্রশ্ন। স্লো বোলিংয়ের কারণে আইসিসির ফিল্ডিং নিয়ে কড়াকড়ি নিয়মের মুখেও পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।

৩. অতিরিক্ত রান

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ অতিরিক্ত দিয়েছে ১৭ রান। ২০ ওভারের ম্যাচে অতিরিক্ত ১৭ রান দেয়া চোখে আঙুল দিয়ে দুর্বলতা দেখিয়ে দেয়। এই ১৭ রানের মধ্যে নো বলই এসেছে চারটি। ওয়াইড ৮টি আর লেগ বাই থেকে আসে ৫ রান। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা একটিও ওয়াইড অথবা নো বল দেয়নি।

প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠতে এই ম্যাচ শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ, দুই দলের জন্যই ছিল বাঁচামরার। আগের ম্যাচে দুই দলই আফগানিস্তানের কাছে হারে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৩ রানের সংগ্রহ তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ২ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply