টিকটক ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করায় শিক্ষিকাকে হেনস্তার অভিযোগ (ভিডিও)

|

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে কানে ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ব্যাপারে এরইমধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

জানা গেছে, ফেসবুকে ছবি আপলোড করাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ আগস্ট রাজশাহীর পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী এক শিক্ষিকাকে স্কুলে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে।

স্কুলের জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজের সামনেই প্রধান শিক্ষক নাজমা ফেরদৌসী তাকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ওই শিক্ষিকা। জেলা প্রশাসনসহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এতে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে

ভুক্তভোগী সেই সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্টোরিতে একটা ছবি আপলোড করাকে কেন্দ্র করেই এতোকিছু। ওখানে সব ম্যাডামরাই ছিলেন, উনি এসে বললেন- ওই উঠ, কান ধর। উনি আমার কথা শুনতেই চাইলেন না।

রাজশাহীর হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা আবদুল আজিজ বলেন, ও বললো যে সে টিকটক করেছিল কিন্তু ওইটা সে ডিলিট করে দিয়েছে। ওকে বকাঝকা করেছি আমি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার দাবি, ওই সহকারী শিক্ষক তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি টিকটক ভিডিও বানিয়েছেন। সে কারণে তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি তাকে সর্তক করেছেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী বলেন, তার মোবাইল থেকে ভিডিওগুলো ডিলিট করার পর চাচা ওকে বকাঝকা করেন। কিন্তু তার আগে বলছিল যে সে নাকি মোবাইলে লক খুলতে পারে না। ও যদি ভালোভাবে ব্যাপারটা বুঝায়ে বলতো তাহলে ব্যাপারটা ওখানেই মিটমাট হয়ে যেতো।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ।

রাজশাহীর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, যে সহকারী শিক্ষক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাকে কান ধরে ওঠাবসা করানো হয়েছে। আমরা এর একটা সুষ্ঠ বিচার চাই।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহীর পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হয়েছে। স্যার বলেছেন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে। নীতিমালা অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গত যে বিচার সেটি আমি করবো।

এর আগে, গত ২৮ আগস্ট স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply