রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান অভিযানে কিছুই হারায়নি রাশিয়া। ভবিষ্যতেও হারাবে না। খবর এপির।
গতকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থনীতি বিষয়ক সম্মেলনে রাখা ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, উল্টো শক্তিশালী হয়েছে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব। তার দাবি, নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ পশ্চিমারা। প্রাচ্যের দিকে ঘুরে যাচ্ছে অর্থনীতির চাকা।
ভ্লাদিমির পুতিন বললেন, ইউক্রেনে কিছুই হারায়নি রাশিয়া। ভবিষ্যতেও হারাবে না। অর্জন সম্পর্কে বলতে গেলে বলবো, শক্তিশালী হয়েছে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব। ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ফলে বিশ্বে সুনির্দিষ্ট বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে আমরা যা যা পদক্ষেপ নিয়েছি, তার সবই আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য। গেলো ৮ বছর যাবৎ নিপীড়িত দোনবাসের জনগণ। তাদের সুরক্ষা, অধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যেই এ সামরিক অভিযান।
আর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা বাতিকগ্রস্ত। নির্লজ্জ ও আগ্রাসী আচরণ অন্যান্য দেশগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। স্বাধীনতা খর্ব এবং ইচ্ছাশক্তিকে দমনের মাধ্যমে চালায় কর্তৃত্ব। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তাদেরই ক্ষমতা লোপ পাচ্ছে। উল্টো এশিয়ার দিকে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বাণিজ্যিক আগ্রহ।
একইদিনে আবার ইউক্রেনীয়দের সুখবর শোনান প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তার দাবি, খারকিভ অঞ্চলের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলমুক্ত করেছেন।
ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, চলতি সপ্তাহে খারকিভ অঞ্চল থেকে মিলেছে কিছু সুসংবাদ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ বাহিনী দখলমুক্ত করেছে তিনটি শহর। এখনই সেগুলোর নাম প্রকাশের যথাযথ সময় আসেনি। এর জন্য টোয়েন্টি-ফিফথ এয়ারবর্ন ব্রিগেড, নাইনটি টু সেপারেট ম্যাকানাইজড ব্রিগেড এবং এইটটি এয়ার অ্যাসল্ট ব্রিগেডের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের সাহসীকতায় এসেছে সাফল্য।
বুধবারও দোনেৎস্কে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী এবং রুশ সমর্থিত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। একের পর এক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় মিসাইল-গোলাবারুদ।
/এমএন
Leave a reply