মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিকল্প মুদ্রায় বৈদেশিক বাণিজ্যের কথা ভাবছে সরকার। আলোচনায় আছে রুবল, রুপি ও ইউয়ান। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরাও। একক মুদ্রায় অতি নির্ভরতার কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মনে করেন তারা। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিট, আকুর আদলে রুবল, রুপি এবং ইউয়ানে লেনদেনের পরামর্শ ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে টান পড়েছে ডলারের। বাণিজ্য ঘাটতির সাথে বাড়ছে লেনদেনে ভারসাম্যহীনতাও। অস্থিরতা বিরাজ করছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। এমন পরিস্থিতে আলোচনা চলছে ডলারের পাশাপাশি বিকল্প মুদ্রায় বৈদেশিক বাণিজ্যের।ব্যাংক এশিয়ার বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলছেন, বর্তমান সংকটের বড় কারণ একক মুদ্রার ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতাশীলতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে বিকল্প অন্য মুদ্রারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বিকল্প মুদ্রায় ঝুঁকি না থাকলেও সতর্কতার সাথে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আকুর আদলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যেমে লেনদেন নিষ্পত্তি হতে পারে। সমপরিমাণ আমদানি-রফতানির বাড়তি অংশের মূল্য পরিশোধে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে ঋণ নেয়া যেতে পারে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ডলারের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার মাধ্যমে সংকটকালীন সময়ে ঝুকি মোকাবেলা সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।
/এডব্লিউ
Leave a reply