পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
অপরিচিত নাম্বারে পরিচয়ের পর মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদী জেলার এক তরুণী।
এ ঘটনায় গত শনিবার গভীর রাতে ওই তরুণী বোদা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ধর্ষণের এই ঘটনায় গ্রেফতার ২ জনকে রোববার বিকেলে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলার বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫), তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫), আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) এবং বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। এদের মধ্য বাকি আপন এবং আশরাফুল পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় নরসিংদী জেলার ওই তরুণীর। প্রায় ৯ মাসের প্রেমের সূত্র ধরে এবং প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদায় চলে আসেন ওই তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় প্রেমিক মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণও আসে। বাড়িতে অন্য কোন লোক না থাকায় সেখান মেয়েটি থাকতে রাজি হয়নি। পরে বিয়ের জন্য রাতেই তাকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরও ২/৩ জন পথহারায় ছিল। তবে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা বাগানে টর্চলাইট নিয়ে এগিয়ে আসলে মেয়টিকে রেখে পালিয় যায় তারা।
এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার পর প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীকে বহনকারী একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার দু’জন আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা থানায় এসেছেন। তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ইউএইচ/
Leave a reply