গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর গাছা ডেগেরচালা এলাকায় এক শিশু ছাত্রকে বলাৎকার ও সহযোগিতার অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে বাদী হয়ে গাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ আরও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শিক্ষক ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার রাখাল বুরুজ এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুর রহমান ওরফে শান্ত ইসলাম (২২), মাদরাসার অধ্যক্ষ (মোহতারিম) ও মুন্সিগঞ্জ সদরের জাজিরা এলাকার মোবারক আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪৪), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার আমিরপুর এলাকার হারুন-অর-রশিদের ছেলে ফকরূল ইসলাম (২৭) ও ময়মনসিংহ সদরের চরপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২)। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. আবু সায়েম নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবার বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, গাছার ডেগেরচালা এলাকার মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদরাসায় গেলো বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবাসিক শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওরফে আ. রহমান (২২) এক শিশু ছাত্রকে বলাৎকার করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গেলো ৮ সেপ্টেম্বর বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করা হয়। পরে শিশুটি ঘটনা তার বাবাকে জানায়। বাবা মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষককেও ওই বিষয়ে অভিযোগ দেন। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে শিশুর বাবাকে আশ্বাস দিলেও তারা কৌশলে কালক্ষেপণ করেন যাতে বলাৎকারের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবা আবারও শিক্ষকদের কাছে গেলে তারা জানায়, পরীক্ষা শেষ হলে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর বাবা কোনও প্রতিকার না পেয়ে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে সোমবার বিকেলে আটক করতে গেলে ওই মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষক পুলিশের কাজে অসহযোগিতা করেন ও বাধা দেন।
পরে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ আরও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এটিএম/
Leave a reply