করোনাভাইরাস মহামারির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। সরকারি চাকরিতে ৩৯ মাস বয়স ছাড়কে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ বলে মনে করছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তবে সাধারণ ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছরই থাকবে। ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। এটা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই নীতির পরিবর্তন হবে না বলেও জানিয়েছেন ফরহাদ হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বয়সে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে একটি নির্দেশনার চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে,
নির্দেশনার চিঠিতে বলা হয়, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কোভিডের কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি তাদের জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তি অুনযায়ী যেসব পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকবে, তারা আবেদনের সুযোগ পাবেন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।
/এনএএস
Leave a reply