রামু বৌদ্ধ মন্দির হামলার ১০ বছর, থেমে আছে বিচার কাজ

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে গুজবের জের ধরে কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১০ বছর পূর্ণ হলো আজ (২৯ সেপ্টেম্বর)। 

এক সময়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর খ্যাত রামুতে ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা চালায় দুস্কৃতিকারীরা।

সাক্ষীদের সাক্ষদানে অনীহায় থমকে আছে বিচার কার্য। ঘটনার বিচার কাজ শেষ করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম্প্রীতি অটুট থাকুক এমনটাই দাবি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের। 

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার একটি ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে রামুতে সংগঠিত হয় ভয়াবহ ঘটনা।

রাতের অন্ধকারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতিকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একইভাবে উখিয়া ও টেকনাফে আরো ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

ঘটনার পর পরই সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিহার ও ঘরবাড়ি নতুন কারুকাজে পুননির্মাণ করে দেয়া হয়। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় নান্দনিকভাবে নির্মিত এসব বৌদ্ধ বিহার ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এ ঘটনায় ১৯ টি মামলা দায়ের হলেও একটি মামলা আপোষে নিস্পত্তি হয়। এজাহারভুক্ত ৩৭৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৪/১৫শ’ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮টি মামলায় ১০২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। 

ঘটনার ১০ বছর পার হয়ে গেছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মামলার প্রথমদিকে যে গতি ছিল তাতে ভাটা পড়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকে স্বাক্ষ্য দেয়ার ক্ষেত্রে আর এগুতে চায় না। সবকিছু যেন ঠিক হয়ে গেছে এমন ভাব সবার। রাষ্ট্রপক্ষ ও ভুক্তভোগী স্বাক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় করে মামলার সুরাহা হবে বলে আশা করেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply