হ্যারি কেইনের হ্যাটট্রিকে পানামাকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। নিঝনি নভগোরদ স্টেডিয়ামে ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
গ্রুপ পর্ব নিশ্চিত করতে শুরু থেকে আক্রমণাত্নক ছিল ৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮ মিনিটেই ডিফেন্ডার জন স্টোনসের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। পানামার এরিক ডেভিসের পায়ে লেগে বল বাইরে যাওয়ায় কর্নার পায় ইংল্যান্ড। কেইরান ট্রিপারের নেওয়া শটে বক্সের মাঝামাঝি থেকে দারুণ এক হেডে গোল করেন স্টোনস।
গোল শোধে মরিয়া পানামা এরপর দারুণ কিছু আক্রমণ করে। ১১ মিনিটে ডানদিক থেকে এডগার বার্সেনাসের করা ক্রস বক্সের মধ্যে আটকে দেন কাইল ওয়াকার। এর মিনিট চারেক পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বার্সেনাসের শট পোস্টে শিষ কেটে বের হয়ে যায়। কিন্তু প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটিকে যেন হাতেকলমে (পড়ুন, পায়েবলে) শিক্ষা দেবে বল পণ করেছিল ইংল্যান্ড। ১৯ মিনিটে বল নিয়ে পানামার বক্সে ঢুকে পড়া হোসে লিনগার্ডকে ফাউল করে পানামার দুই ডিফেন্ডার। ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। বুলেট গতির শট বক্সের বাম কোনায় পাঠিয়ে গোল আদায় করেন ব্রিটিশ সেনসেশন হ্যারি কেইন।
৩৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে চোখ ধাঁধানো এক শটে স্কোর লাইন ৩-০ করেন জেসি লিনগার্ড। ৪ মিনিট পর, নিজের দ্বিতীয় গোল পান জন স্টোনস। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। দৃষ্টিনন্দন শটে গোল করেন কেইন। এই গোলের মাধ্যমেই ইতাহাসের পাতায় নাম লেখান হ্যারি কেইন। গ্রুপ পর্বে ৩ বা তার চেয়ে বেশি গোল করা তৃতীয় ইংলিশ ফুটবলার তিনি। কেইনের আগে ১৯৬৬ সালে রজার হান্ট আর ১৯৮৬ সালে গ্যারি লিনেকার এমন কীর্তি দেখিয়েছেন।
কিন্তু, আরও খেল দেখানো বাকি ছিল কেইনের। দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে বসেন এই তারকা। এ গোলে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া রুবেন লফটাসের শট কেইনের গোড়ালিতে লেগে ঢুকে পড়ে পানামার জালে। এর পরই কেইনকে তুলে নিয়ে জেমি ভার্দিকে নামান কোচ সাউথগেট।
ম্যাচের বাকি সময়ে বেশ কয়েকবার ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে পানামা। ৭৬ মিনিটে একটি সহজ সুযোগ মিস করে তারা ৭৮ মিনিট রিকার্ডো আভিয়ার দুর্দান্ত এক সেট পিস থেকে দারুণ এক গোল করেন পানামার অধিনায়ক ফেলিপে ব্যালয়। বিশ্বকাপে পানামার প্রথম গোল। সেই সাথে এই মঞ্চের বাস্তবতাও যেন টের পেলো মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকাকে সংযুক্তকারী দেশটি।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply