ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে কাতারে আবারও চালু হলো বিখ্যাত মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে জাদুঘরটি খুলে দেয়া হলো জনসাধারণের জন্য। ফুটবল উপভোগে আসা দর্শকদের ইসলামি সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ কাতার প্রশাসনের। দেড় বছর ধরে চলা সংস্কার কাজের পর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে জাদুঘরের অন্দর।
দোহায় সাগর ঘেঁষে তৈরি মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট ভবনটিকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্থাপত্য হিসেবে। প্রাচীন ও আধুনিকতার মিশেলে অনন্য নির্মাণ শৈলীর কারণে জগৎ জুড়ে খ্যাতি এই জাদুঘরের।
২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ সামনে রেখে আরও আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে ভবনের প্রতিটি কোনা। দীর্ঘ ১৮ মাসের সংস্কার কাজ শেষে আবারও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলো জাদুঘরের দরজা। পাথরে খোদাই করা কুরআনের আয়াত। তিন মহাদেশের ১১ হাজার শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে গ্যালারিতে। আছে ১৩ শতকের ঐতিহ্যও। প্রতিটি দেয়ালে ফুটে উঠেছে ইসলামের গৌরবের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের সামনে ইসলামের এই ঐতিহ্য তুলের ধরার বড় সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপকে।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্টের পরিচালক জুলিয়া গনেলা বলছেন, বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জাদুঘর এটা। অসাধারণ নির্মাণশৈলী। অতীত ও বর্তমান এখানে একসাথে ধরা দেয়। গ্যালারির অভ্যন্তরীণ নকশায় পরিবর্তন এনেছি। আমার মনে হয় লাখ লাখ মানুষের সামনে ইসলামের ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য বিশ্বকাপ একটি ভালো সুযোগ।
কাতারের ২৮ লাখ বাসিন্দার মাত্র ৩ লাখ ৮০ হাজার দেশটির নাগরিক। বাকিরা প্রবাসী। ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে কমপক্ষে ১২ লাখ মানুষ দেশটিতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply