চট্টগ্রামে পাহাড় দখলমুক্ত করতে শিগগিরই সমন্বিত অভিযানে নামছে প্রশাসন। অবৈধভাবে বসবাসরতদের তালিকা তৈরি করছে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। শিগগিরই জারি হবে গণবিজ্ঞপ্তি। এক মাসের সময় দিয়ে সাঁড়াশি উচ্ছেদ, ভূমিহীনদের নিজ জেলায় ফেরত পাঠানোসহ ৬টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বর্ষা মৌসুম আসলে কিংবা টানা বৃষ্টি হলে চট্টগ্রামে পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে দিতে চলে অভিযান। বছরের বাকি সময় কোনো উদ্যোগ থাকে না। তবে জঙ্গল সলিমপুরে শত শত একর খাস জমি দখলমুক্ত করতে মাস দুয়েক ধরে চলা সমন্বিত অভিযানের পর কিছুটা হলেও পাল্টাচ্ছে চিত্র। যেকোনো মূল্যে এবার সব স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্তে অনড় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৫তম সভায় এ সংক্রান্ত ৬টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জঙ্গল সলিমপুর এবং আলীনগরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে তোলা সব স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযানের কথা জানান বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।
এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে যে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে তা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা ও খালি স্থানগুলোতে র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে নিয়মিত টহল দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নতুন করে যাতে কেউ পাহাড় না কাটে সেজন্য নজরদারি অব্যাহত রাখবে প্রশাসন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, একইসঙ্গে পাহাড়ে অবৈধভাবে যারা বসবাস করছে তাদের নিজ নিজ স্থায়ী ঠিকানায় পুনর্বাসন করা হবে। এ বিষয়ে একমাস ধরে মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। অবৈধভাবে বসবাসকারীরা সীতাকুণ্ডের সহকারী ভূমি অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাদের আবেদন জমা দেবে। এরপর তাদের স্থায়ী এলাকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। তারা পর্যালোচনা করে যদি দেখেন, তারা ভূমিহীন, তবে সেখানেই তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাহাড়ে আর কোনো পুনর্বাসন করা হবে না।
পুনরায় দখল ঠেকাতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গল সলিমপুরে স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
/এডব্লিউ
Leave a reply