ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ খেলছে রাশিয়া। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মিসরের জালে আরও ৩টি গোল দেয় তারা। বলা যায়, ২ ম্যাচে ৮ গোল করে আকাশেই উড়ছিল স্বাগতিকরা। নড়েচড়ে বসে রাশিয়াকেও ফেভারিটের তালিকায় ঠাঁয় দিতে শুরু করলেন ফুটবল বোদ্ধারা। এবার সেই উড়ন্ত রাশিয়াকেই মাটিতে টেনে নামালো উরুগুয়ে। ৩-০ গোলের তাদের হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় উঠলো অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা।
রাশিয়াকে আজ যেন বাস্তবতায় নামিয়ে আনলো লুই সুয়ারেজরা। সামারার মাঠে আজ গোলের দেখা পায়নি রাশানরা। গাজিনিস্কি-সামেদোভরা খুব বেশি জোরালো আক্রমণ করতে পারেননি। প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোল করেন লুই সুয়ারেজ। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তানকুরকে বক্সের বাহিরে ফাউল করেন রাশিয়ার ইউরি গাজিনিস্কি। মানবদেয়ালকে ফাঁকি দিয়ে ২০ গজ দূর লক্ষ্যভেদ করেন সুয়ারেজ। এরপরও রাশিয়া বেশ কিছু আক্রমণ করে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলে তারা। উল্টো, পাল্টা-আক্রমণ থেকে কর্নার পায় উরুগুয়ে। সেটি ক্লিয়ার করতে পারেনি রাশিয়া। বক্সের বাইরে বল পেয়ে শট নেন উরুগুয়ে মিডফিল্ডার লাক্সাল্টে। সেটি রাশিয়ার ডেনিস চেরিশভের পায়ে লেগে গোল হয়ে যায়। রেফারি আত্মঘাতী গোলের সংকেত দেন। এ অপরাধেই কিনা ২ ম্যাচে ৩ গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে ৩৮-তম মিনিটে তুলে নেন রাশান কোচ। অবশ্য তার আগেই ইগর সোমোলিঙ্কভ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনে দলে পরিণত হয় রাশিয়া।
একতরফা খেলার দ্বিতীয়ার্ধে রাশিয়া বলার মতো তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি। উপরন্তু, উরুগুয়ে বেশ কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে। ৯০-তম মিনিটে রাশিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন কাভানি। প্রথম দল হিসেবে গ্রুপপর্বে কোনো গোল হজম না করেই তিন ম্যাচেই জিতে শেষ ষোলোয় উঠে উরুগুয়ে। এর আগে ১৯৯৮-র বিশ্বকাপে এই কৃতিত্ব ছিল আর্জেন্টিনার। আজকের ম্যাচে বিশ্বকাপে উরুগুয়ের হয়ে ৭ম গোল করেন সুয়ারেজ। আর এক গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন উরুগুয়ের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করা অস্কার মিগুয়েজকে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply