গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। তা সত্বেও কেন্দ্রে আসতে থাকেন ভোটাররা। তাদের নির্বিঘ্ন ভোট দান নিশ্চিতে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার সদস্য।
প্রায় ১১ লাখ ৩৮ হাজার ভোটারের এই সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর রাস্তায় পুলিশ, RAB ও বিজিবির সদস্যদের গাড়ির বহর টহল রয়েছে। কোনো ভোট কেন্দ্রে কেউ কারচুপির চেষ্টা করলে প্রয়োজনে পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছেন ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারাও। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন কিনা তা দেখভাল করবেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা) ও বিএনপি মনোনীত মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ)।
নগরীতে নতুন ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার। এছাড়া শ্রমিক ভোটার ২ লাখের বেশি। নির্বাচনে নারী, নতুন ও শ্রমিক ভোটাররাই প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সর্বশেষ গাজীপুর সিটিতে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্ল্যাহ খানকে হারিয়ে বিএনপির অধ্যাপক এমএ মান্নান ১ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন। এবার এ দু’জনের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। গাজীপুর সিটিতে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও ৩৬ দিন নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার পর আইনি জটিলতায় আটকে যায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। পরে আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
Leave a reply