বাংলাদেশ ক্রিকেটে জয়-পরাজয়ের চেয়েও বড় ধ্রুবকের নাম যেন ব্যাটিং ব্যর্থতা! একেকটা ম্যাচ যায়, আর অধিনায়কের মুখে শোনা যায়, পরাজয়ের কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। আরও যা শোনা যায় পরক্ষণেই তা হলো, উন্নতি করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মিডল অর্ডারে দ্রুত উইকেট হারানোকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের প্রধান কারণ হিসেবে বলেছেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বোলাররা ভালো করলেও আরও উন্নতি সুযোগ আছে, এমনটা বলছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। অন্যদিকে, পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান বলছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে মূল কারিগর বোলাররা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। মারকুটে ব্যাটিং লাইনআপের পাকিস্তানকে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ১৬৭ রানে আটকে দেয় টাইগার বোলাররা। তবে মোস্তাফিজ আর হাসান মাহমুদ এতটা ব্যয়বহুল না হলে আরও কম রানে আটকানো যেতো পাকিস্তানকে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেছেন সেই কথাই। তিনি বলেন, আমরা হতাশ। উইকেট ভালো ছিল আর বোলাররাও দারুণ খেলেছে। আমাদের উন্নতির বেশ কিছু জায়গা রয়ে গেছে। ইনিংসের মাঝখানে উইকেট হারানোর খেসারত দিতে হয়েছে। লিটন এবং ইয়াসির খুব ভালো ব্যাট করেছে। তবে আবারও বলবো, ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে।
কিন্তু ক্রাইস্টচার্চের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ১৬৮ রানের টার্গেট তাড়া করে জয় পাওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু ৮৭ রানের মাথায় ভালো শুরু করা লিটন দাস আউট হবার পর ১০১ রানের মধ্যেই আফিফ, মোসাদ্দেক ও সোহানকে হারিয়ে ১০১ রানেই ৬ উইকেটে দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ইয়াসির আলী রাব্বি ২১ বলে ঝড়ো ৪২ রানের ইনিংস খেললেও হার এড়াতে পারেনি সাকিববিহীন টাইগাররা। আর তাই, এই ডিপার্টমেন্টে সোহানের বলা অনেক উন্নতির কথা যথার্থ। তবে এই উন্নতির কথা শোনা যাচ্ছে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক জুড়ে। তবে কোনো উন্নতির দেখা অন্তত মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে খুশি পাকিস্তান। ৫০ বলে ৭৮ রান করে ম্যাচ সেরা হওয়া রিজওয়ান জয়ের কৃতিত্ব দিলেন বোলারদের। তিনি বলেন, আজ ভালো আবহাওয়া ছিল, রোদও উঠেছে। উইকেট বেশ ব্যাটিং সহায়ক, আমরা টার্গেটের চেয়ে ১০-১৫ রান কম করেছি। তবে আমাদের বোলাররা সেই ঘাটতি মিটিয়ে দেয়ায় সহজ জয় পেয়েছি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হারলো বাংলাদেশ
/এম ই
Leave a reply