সংঘাতে লিপ্ত দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার দুই প্রতিষ্ঠান পেয়েছে এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার। রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থার নাম মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিসের সাথে এই সম্মানের অংশীদার হয়েছে আরেক প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বেলিয়াস্কি। তবে, এবারের শান্তি পুরস্কারকে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে বেলারুশ। দেশটির দাবি, পুরস্কার কমিটি এতোটাই পক্ষপাতদুষ্ট যে, কবরে শুয়েই কষ্ট পাচ্ছেন অ্যালফ্রেড নোবেল। খবর পলিটিকোর।
নোবেল শান্তি পুরষ্কার নিয়ে প্রতি বছরই চলে নানা আলোচনা-হিসেব নিকেশ। রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে এই দুই দেশের কেউ এবারের সম্মাননা পাবেন, এমন জল্পনা ছিল আগেই। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নোবেল কমিটি ঘোষণা করে রাশিয়া-ইউক্রেনের দুই সংস্থা মেমোরিয়াল, সিভিল লিবার্টিস এবং বেলারুশের অ্যালিস বেলিয়াস্কির নাম। বলা হয়, নিজ নিজ দেশে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করেছেন তারা। তিন প্রতিবেশী দেশে নাগরিকদের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার থাকায় তাদের এই সম্মাননা দেয়া হলো বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি।
৮০’র দশকের মাঝামাঝি সময়ে বেলারুশে গণতন্ত্র আন্দোলনের সূচনাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বেলিয়াস্কি। বেলারুশের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে তিনি প্রথম উচ্চকণ্ঠ হন। রাজনৈতিক বন্দিদের অধিকার আদায়ে ভিয়াসনা নামে একটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান করেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে বেলারুশের কারাগারে বিনা বিচারে আটক আছেন তিনি। বেলারুশের বিরোধী দলীয় নেতা সিভেতলানা শিখানোস্কায়া বলেন, বেলারুশে গণতন্ত্রের আড়ালে চলা একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেল কয়েক দশক ধরে সোচ্চার বেলিয়াস্কি। তিনি বিশ্বের সামনে পুরো দেশের মাথা উচু করেছেন। তাকে নিয়ে বেলারুশের গণতন্ত্রকামী মানুষ গর্বিত।
তবে অ্যালেস বেলিয়াস্কির নোবেল জয়ের খবরটিকে ইতিবাচকভাবে দেখতে পারছে না বেলারুশ সরকার। বেলিয়াস্কির এই সম্মানপ্রাপ্তিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত বলে মত প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনাতোলি গ্লাজ। তিনি বলেছেন, নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত এতোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে, স্বয়ং অ্যালফ্রেড নোবেলও এমন সিদ্ধান্তে কবরে শুয়ে কষ্ট পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী আলেস বেলিয়াস্কি ও দুটি মানবাধিকার সংগঠন
/এম ই
Leave a reply