মহাকাশে স্ট্যান্ট করতে যাচ্ছেন টম ক্রুজ

|

টম ক্রুজ

চরিত্রের প্রয়োজনে কতো কীই না করেন তিনি! প্রেম হোক বা যুদ্ধক্ষেত্র, সবকিছুতেই স্ট্যান্ট করতে পছন্দ করেন এ হলিউড তারকা। সমগ্র পৃথিবীকে এ যাবত প্রচুর অ্যাকশন দেখিয়েছেন, কিন্তু তাতে তার মন ভরেনি। তাই এবার তিনি চলেছেন মহাকাশে। এবার মহাকাশেও নানা রকম স্ট্যান্টবাজি করতে দেখা যাবে তাকে। এই সুপারস্টার আর কেউ নন, হলিউড চলচ্চিত্রের ক্রেজ ‘টম ক্রুজ’!

টম ক্রুজ মানেই, চোখে ভাসে দম বন্ধ করা অ্যাকশন দৃশ্য। কখনও উঁচু ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ছেন, কখনও বা উড়োজাহাজের পাখা ধরে ঝুলছেন। হলিউডের এই অ্যাকশন হিরোর আর পৃথিবীতে পোষাচ্ছে না, এবার তাই মহাকাশযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে টম ক্রুজের আসন্ন একটি সিনেমার কিছু অংশের শ্যুটিং করা হবে। এমনকি সেখানে টম মহাশূন্যে হাঁটবেন বলেও চলছে গুঞ্জন! আর এ দৃশ্যগুলোর শ্যুটিংয়ে কোনো বডি ডাবল না, অভিনয় করবেন ক্রুজ নিজেই।

পরিচালক ডগ লিমান ও ক্রুজ এ সিনেমার পরিকল্পনা করেন ২০২০ সালে। তখনই ভাবা হয়েছিল, কিছু শুটিং হবে মহাকাশে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন রাখবে বড় ভূমিকা। এরপর মহামারীর থাবায় সব থমকে যায়। সেই ধাক্কা সামলে লিমান আর ক্রুজ এবার হলিউড স্টুডিও ইউনিভার্সাল গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। সব ঠিক থাকলে এ বছরই শুরু হতে পারে আলোচিত এ সিনেমার শুটিং।

এ প্রসঙ্গে ইউনিভার্সাল ফিল্মের প্রেসিডেন্ট ডোনা ল্যাংলি বলেন, টম আমাদেরকে মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে নিয়ে দারুণ একটা প্রজেক্টের পরিকল্পনা করছি আমরা। একটা রকেট নিয়ে মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে সেখানে হবে শুটিং।

ল্যাংলি আরও জানান, পুরো সিনেমার দৃশ্যায়নই যে মহাকাশে হবে– ব্যাপারটা তেমন নয়। বেশিরভাগ শুটিং পৃথিবীতেই হবে। পৃথিবীকে বাঁচাতে পরে মূল চরিত্র চলে যাবে মহাকাশে। এই জল্পনা যদি সত্যি হয়; তবে বিজ্ঞানী বা গবেষক বাদে, এবারই প্রথম কোনো সাধারণ মানুষ মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

এদিকে, সিনেমাটির পরিচালক ডগ লিমান জানিয়েছেন, এ সিনেমা তৈরিতে বাজেট ধরা হয়েছে ২০ কোটি ডলার। তবে খরচের এ হিসাব এখনও চূড়ান্ত নয়। টম ক্রুজ কবে মহাকাশ স্টেশনে যাবেন, সেখানে তাকে কতোদিন থাকতে হবে, বা শুটিং ইউনিট কতোজনের হবে, সেসব এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

উচ্চাভিলাষী টমের ক্যারিয়ারেও একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ হতে চলেছে এটি। এর আগেও বহু সিনেমায় দুঃসাহসিক নানা স্ট্যান্ট নিজেই করেছেন। কিছুদিন আগেই পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাকারি এক বিরল ছবি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে একটি অবিশাস্য স্টান্ট দেখাচ্ছিলেন টম। কোনো গাইড বা সহায়ক ছিলেন না পাশে। ৬০ বছর বয়সে প্রথম মহাকাশচারী অভিনেতা হয়ে এই তারকা যেন নিজেই নিজেকে প্রমাণ করছেন, তিনি কিন্তু এখনও ফুরিয়ে যাননি।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply