পাহাড়ি জনপদে বাড়ছে আধুনিক কৃষির ক্ষেত্র

|

শরিফুল ইসলাম খান:

পাহাড়ি জনপদে দিন দিন বাড়ছে কৃষির প্রসার। প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই কেউ কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। যেখানে চাষ করা হচ্ছে নানা প্রজাতির কৃষি পণ্য। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন খামারের উদ্যোক্তারা।

পাহাড়ের খামারগুলো হঠাৎ চোখে পড়লে অবাক লাগবে কিংবা প্রশ্ন জাগবে, বিস্তীর্ণ এই পাহাড়ি জনপদে কীভাবে টিকে আছে এমন গৃহপালিত পশুপাখি। আসলে কেবল পর্যটন নয়, কৃষিখাতেও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হচ্ছে পার্বত্য জেলাতে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের নিসর্গ এগ্রো ফার্ম সে বার্তাই দিচ্ছে।

ওপর থেকে নিসর্গ এগ্রো ফার্মটিকে দেখলে মনে হবে বিশাল পাহাড়ের পাদদেশে ভালোবাসার চিহ্ন বহন করছে সেখানকার জলরাশি। নিঃসন্দেহে বলা যায়, পর্যটক আকর্ষণ করতে পরিকল্পতিভাবে পুকুরকে এমন আকৃতি দেয়া হয়েছে। চারপাশে সবুজের আচ্ছাদন, তার মধ্যেই ৬টি পুকুরে নানা প্রজাতির মাছের চাষ করা হচ্ছে বলে জানালেন নিসর্গ এগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা মো. শফিউল্লাহ।

আম, জাম, আমলকি, পেয়ারা থেকে শুরু করে দেশি জাতের সব ফল মিলবে এই খামারে, আছে ড্রাগন কিংবা কাশ্মিরি কুলের মত বিদেশি নানা জাতের ফলও।

মূলত মৎস্য চাষ, পাখি পালন ও প্রজনন , ফল ও সবজি চাষ এবং চারা উৎপাদন করা হয় এই খামারে। ফার্মের উদ্যোক্তা মো. শফিউল্লাহ স্বপ্ন দেখেন, কৃষির সঙ্গে যুক্ত করবেন ট্যুরিজমকে। এই খামারকে রূপান্তর করতে চান পৃথিবীর উন্নত দেশের কোনো এগ্রোট্যুরিজম সেন্টারের আদলে।

২০১৬ সালে ২০ একর জায়গার ওপর নিসর্গ নামক এই কৃষি খামার গড়ে তোলা হয়। ১৫ জন কর্মচারীর সঙ্গে দরকার হলে নিজেও কাজ করেন খামারের উদোক্তা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিউল্লাহ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply