দূষিত নগরীর কাতারে রাজধানী ঢাকার অবস্থান সর্বদা ওপরের দিকে ছিল বরাবই। এবার ব্যয়বহুল শহর হিসেবেও ঢাকার অবস্থান ওপরের সাড়িতেই।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় ব্যয়বহুল শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভারতের মুম্বাই। আর বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৬৬তম, সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল হংকং।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবসম্পদ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মার্সার প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীগুলোর এক তালিকায় এ চিত্র উঠে এসেছে। ২০৯টি নগরীর অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে এ তালিকায়।
একটি নির্দিষ্ট শহরে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্য শহরটি কতটা ব্যয়বহুল, তার ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ২৪ বছর ধরে এ তালিকাটি প্রকাশ করে আসছে মার্সার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও। শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো হল সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, সিঙ্গাপুরের সিঙ্গাপুর সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল, অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডা, চীনের সাংহাই, চাদের রাজধানী এনজামিনা, চীনের রাজধানী বেইজিং ও সুইজারল্যান্ডের আরেক শহর বার্ন। শীর্ষ দশে সবচেয়ে বেশি ছয়টি শহর এশিয়া মহাদেশের।
এই সূচকে পুরো দক্ষিণ এশিয়া থেকে একটি মাত্র নগরী ঢাকার উপরে আছে। সেটি ভারতের মুম্বাই, দেশটির অবস্থান ৫৫তম। পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অন্য নগরীগুলো ঢাকার অনেক পেছনে। তালিকায় ইয়াংগুনের অবস্থান ৯১তম, দিল্লি ১০৩, কলম্বো ১০৮, চেন্নাই ১৪৪, কলকাতা ১৮২, ইসলামাবাদ ১৯০ আর করাচি ২০৫তম অবস্থানে।
এ তালিকা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বসবাসের খরচকে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর খরচের হিসাব তুলনা করা হয় মার্কিন ডলারে।
নিউইয়র্কে বসবাসের খরচের সঙ্গে অন্য শহরের তুলনা করে তালিকাটি করা হয়েছে। এটি করতে গিয়ে ২০০টি বিষয় বা সূচককে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আছে বাসা ভাড়া, খাবার, পোশাক, যাতায়াত, বিনোদনের খরচ। সিনেমা দেখার টিকিটের দামের পার্থক্য, এক কাপ চা ও কফির দাম, এক লিটার বোতলজাত পানি, পেট্রল ও দুধের দামের মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পণ্যের দাম মার্কিন ডলারের বিপরীতে একটি শহরে প্রচলিত মুদ্রার ওঠানামার সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
Leave a reply