কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে না মানায় কক্সবাজারের ডিসি মামুনুর রশিদকে ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত এ সময় ডিসিকে উদ্দেশ করে বলেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার পারফরম্যান্স শুধু জিরোই, নয় নেগেটিভও। আদালতের আদেশ না মানলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাখ্যা দিতে আদালতে হাজির হন ডিসি মামুনুর রশিদ। এ সময় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ভর্ৎসনা করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে জেলা প্রশাসকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে
এ সময় আদালত ডিসি মামুনুর রশিদকে বলেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার পারফরম্যান্স শুধু জিরোই নয় নেগেটিভও। বারবার বলার পরও আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেননি। আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ মান্য করুন। আদালতের আদেশ না মানলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আপনি এ ঝুঁকিতে যাবেন না।
এ সময়, আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ডিসি মামুনুর রশীদ। তখন আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে ডিসিকে ব্যক্তিগত অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট।
আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে ডিসি জানান, সমুদ্র সৈকত এলাকার ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া, ২৩৩টি অবৈধ স্থাপনায় চেম্বার জজ আদালতের উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা উচ্ছেদ করা হয়নি।
তখন আদালত আগামী ৩১ অক্টোবরের পর থেকে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পরপরই কক্সবাজারের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে, ২০১১ সালের ৭ জুন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, এ নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট কক্সবাজারের ডিসিকে তলব করেন হাইকোর্ট।
/এসএইচ
Leave a reply