ক্যাচ ধরতে উড়ে আসছে ‘সুপারম্যান’, চাপে অস্ট্রেলিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৩ টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ ও মিশেল মার্শদের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। গ্লেন ফিলিপসের এক সুপারম্যানীয় কীর্তিতে এরপর মার্কাস স্টয়নিসও ফিরে গেছেন সাজঘরে। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত অজিদের সংগ্রহ ১১ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এবারও অজিদের সাফল্যের জন্য এই বাঁহাতি হার্ড হিটারের দিকেই তাকিয়ে থাকছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সাথে, অধিনায়ক ফিঞ্চের জন্যও হয়তো এটাই শেষ আইসিসি আসর। টিম সাউদির বলে অদ্ভুত উপায়ে প্লেইড অন হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ওয়ার্নার। তারপর মিচেল স্যান্টনারের বলে মাত্র ১৩ রানেই আউট হয়েছেন ফর্ম খুঁজতে থাকা ফিঞ্চ। গত বিশ্বকাপে অজিদের সাফল্যের আরেক নায়ক মিচেল মার্শও আজ বেশি সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। সাউদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রান করে আউট হয়েছেন মার্শ।

ছবি: সংগৃহীত

তবে মার্কাস স্টয়নিস হয়তো তার আউতের জন্য ভাগ্যকে দুষতে পারেন। নয়তো স্যান্টনারের বলে তার হাওয়ায় ভাষিয়ে শট তালুবন্দি করতে কেন হঠাৎ সুপারম্যান বনে গেলেন গ্লেন ফিলিপস! ডিপ কাভারে ফিল্ডিং করতে থাকা ফিলিপস ক্যাচটি ধরে তার বাম পাশে শরীরকে উড়িয়ে দেন হাওয়ায়। মাটির সাথে সমান্তরালে ভাসতে থাকা অবস্থায় দুই হাতে মুঠোয় পুড়ে নেন বল। আর এই মনে রাখার মতো ক্যাচ দেখে কেবল মাথা নাড়তে নাড়তে প্যাভিলিয়নে ফেরা ছাড়া কিছুই করার ছিল না স্টয়নিসের। তারপর টিম ডেভিডকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেছেন মিচেল স্যান্টনার। জয়ের জন্য অজিদের এখনও করতে হবে ৫৪ বলে ১২৮ রান।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ের হার না মানা ৯২ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।

আরও পড়ুন: কনওয়ের ৯২, অজিদের সামনে ২০১ রানের পাহাড়

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply