‘দল বাঁচাতে আমাকে প্রধানমন্ত্রী হতে দিন’; ঋষিকে নির্বাচন ত্যাগ করতে বললেন বরিস

|

ঋষি সুনাক (বাম), বরিস জনসন (ডান)। ছবি: সংগৃহীত।

ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে লিজ ট্রাসকে। এখন তার স্থলে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যারা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাকের নাম উঠে আসছে সবার ওপরে। তবে দলের স্বার্থে ঋষিকে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বরিস জনসন। তার বদলে বরিসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। সেখানে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ঋষির কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বরিস। তিনি বলেছেন, একমাত্র তার নেতৃত্বেই ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারবে কনজারভেটিভ পার্টি। তাই দলের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য প্রার্থিতা না দেয়ার জন্য ঋষিকে আহ্বান জানিয়েছেন বরিস।

মূলত, এক সময় কনজারভেটিভ পার্টিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বরিস। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলকে জয় এনে দেন তিনি। তবে এরপরই একের পর এক বিতর্ক শুরু হয় বরিসকে ঘিরে। সর্বশেষ করোনা বিধিনিষেধের মধ্যে পার্টি করে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন বরিস। এর জেরে পদত্যাগ করতে হয় তাকে। এরপরই বরিসের স্থলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসেন লিজ ট্রাস। তবে ব্রিটেনের সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদি প্রধানমন্ত্রীর তকমা নিয়ে তাকেও পদত্যাগ করতে হয়। এখন আবারও নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বরিসের ফিরে আসা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।

অবশ্য, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এখন কনজারভেটিভ এমপিদের মধ্যে বরিসের চেয়ে ঋষির প্রতি সমর্থনই বেশি। রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত কনজারভেটিভ এমপিদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ ঋষি সুনাকের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন, বরিস জনসনকে সমর্থন করেছেন ৩০ শতাংশ এবং পেনি মরডন্টের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন ১৬ শতাংশ।

এরই মধ্যে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন পেনি মরডন্ট। লিজ পদত্যাগ করার পরদিনই প্রার্থিতা ঘোষণা করেন তিনি। তবে এখনও প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি ঋষি। তাই বরিসের এই পরামর্শে তিনি সাড়া দেন কিনা সেটিই এবার দেখার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply