১৬টি প্রাণ কেড়ে নিলো সিত্রাং

|

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভোলা উপকূল দিয়ে ঢুকে সিলেট অঞ্চল দিয়ে মধ্যরাতে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করেছে। ঝড়ে গাছ চাপায় এবং নৌকা ডুবে এ পর্যন্ত ৮ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে বেরিয়ে আসছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অনেক এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষত-বিক্ষত অনেক জনপদ। সহায়-সম্বল হারিয়ে নিস্ব হয়েছেন অনেকে। দেশের মোট ৬টি জেলায় সিত্রাংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বেশি। এর মধ্যে ভোলা, বরগুনা আর বরিশালে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকায় গাছ পড়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। শহরের ভেতরে কয়েক ফুট পানি জমে যায়। দোকান-পাটও তলিয়ে যায় বিভিন্ন স্থানে।

ভোলার চরফ্যাশনের মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় গাছের ডাল পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। সদরের চেওয়াখালী ও দৌলতখান পৌর এলাকায় বসতঘর ভেঙে ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া লালমোহন উপজেলায় জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক গৃহবধূ। এখন পর্যন্ত ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

এছাড়া লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বসতবাড়ি-রাস্তাঘাট। ভেঙেছে বাড়িঘর ও বহু গাছপালা। খুঁটি উপড়ে পড়ায় অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে, কুমিল্লায় ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চলও। বসত ঘরের মধ্যে পানি ঢুকেছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে সেই পানি অপসারণে ব্যস্ত অনেকে। কেউ কেউ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে ডুবে যাওয়া সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে থাকায় সাগরে মাছ শিকারে নেমেছেন অনেক জেলে।

মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, স্বাভাবিক হয়েছে সারা দেশের নৌ চলাচলও। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের মোকাবেলা করে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মানুষ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply