শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো জিম্বাবুয়ে

|

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাটিং শক্তিমত্তা বিচারে পাকিস্তানের মতো দলের কাছে ১৩১ রানের টার্গেট মামুলিই হওয়ার কথা। হেসে খেলেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পকেটে পুরবে পাকিস্তান, এমনটাই ধারণা ছিল, অন্তত জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সাইট ক্রিকইনফোর প্রেডিকশনে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানই এগিয়ে ছিল। কিন্তু ১৩০ রানের পুঁজিকেই যথেষ্ট বানিয়ে ১ রানের জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সাদামাটা ম্যাচকে শ্বাসরুদ্ধকর বানিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

অধিনায়ক বাবর আজম তার বাজে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদিন ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অপর সতীর্থ রিজওয়ানও ক্রিজে থিতু হতে পারেন নি। ১৬ বল খেলে ১৪ রান করে তিনিও সাজঘরে ফেরেন।

শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন বাবর-রিজওয়ানরা। অধিনায়ক বাবর আজম তার বাজে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এ দিন ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অপর সতীর্থ রিজওয়ানও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ১৬ বল খেলে ১৪ রান করে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। শান মাসুদ লড়াই করে চলেন এক প্রান্ত আগলে রেখে। অপর প্রান্তের ব্যাটাররা যাওয়া আসার ভিতরেই ছিলেন। ১০ বলে ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইফতিখার আহমেদ। শাদাব খান করেন ১৪ বলে ১৭ রান। পরে সিকান্দার রাজার ঘূর্ণি জাদুতে দাঁড়াতেই পারেননি হায়দার আলি। প্রথম বলেই শূন্য রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ১৬-তম ওভারে ৩৮ বলে ৪৪ রান করে ফিরে যান শান মাসুদ ফিরে যাওয়ার পর আরও চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। বল-রানের সহজ ব্যবধান মিটাতে পারেননি নাওয়াজ।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৬ বলে ১১ রান। প্রথম বলেই উড়িয়ে খেলেন নাওয়াজ। তাতে বল সীমানা না পার হলেও আসলো ৩ রান। পরের বলে ওয়াসিম বাউন্ডারি হাঁকালে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ বলে ৪। কিন্তু এরপরও ম্যাচের হাল ছাড়েনি জিম্বাবুয়ে। পরের দু’বলে ১ রান দেন ইভান্স। পঞ্চম বলে নাওয়াজ সজোরে হাঁকালেও মিস টাইমিং করে সার্কেলের মধ্যেই এরভিনের তালুবন্দি হন। শেষ বলে ৩ রানের কঠিন সমীকরণে পড়েন নতুন ব্যাটার শাহীন শাহ আফ্রিদি। তাতে ২ রান নিতে গিয়ে আউট হন তিনি। নাটকীয় ম্যাচে ১ রানে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই উঠে গেল জিম্বাবুয়ে।

চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। ব্যাট হাতে এদিন মাত্র ৯ রানে ফিরে গেলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার ঠিকই বাগিয়ে নিলেন তিনি।

এর আগে, পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ইনিংসের প্রথম ৪ ওভারে ৯.৫০ গড়ে স্কোর বোর্ডে ৪০ রান জমা করে জিম্বাবুয়ে।

এরপর জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে পাকিস্তান। পরের ৬ ওভারে মাত্র ২৯ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভারে শেষএ তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৭ রান। পরের ৫ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

১৫ ওভারে ৯৮ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি শেষ ৩০ বলে স্কোর বোর্ডে যোগ করে মাত্র ৩২ রান। পাকিস্তানের হয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply