ইসরায়েলে ৪ বছরে পাঁচবার নির্বাচন: এবার জরিপে এগিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

|

চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন দেখছে ইসরায়েল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায়, আবারও কি মসনদে ফিরছেন এক যুগ ক্ষমতায় থাকা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু? এবারের ভোটাভুটিকে অনেকেই দেখছেন লিকুদ পার্টি নেতার পক্ষে-বিপক্ষে আস্থা ভোট হিসেবে।

জনমত জরিপে এগিয়ে থাকলেও অবশ্য তার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। তাই সরকার গঠনে ছোট দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে, এমনটিই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্সের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের এপ্রিলে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইসরায়েলে। সেই থেকে শুরু, একের পর এক নির্বাচন হলেও ফেরেনি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। তাই নেতা বাছাইয়ে ব্যালটের মাধ্যমে আরও এক দফা রায় জানাবেন ইহুদিরা।

সবশেষ চার দফার ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। সমঝোতার ভিত্তিতে গঠিত আট দলীয় জোটের সরকারও টেকেনি। গেলো জুনে ভেঙে দেয়া হয় পার্লামেন্ট। ৫ম দফা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে আবারও আলোচনায় টানা এক যুগের সরকার প্রধান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. গেইল তালশির বলেন, আমার মনে হয় এবার বড় একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। বেন গিভির নেতৃত্বে রিলিজিয়াস জিয়নিজম হয়ে উঠতে পারে তৃতীয় বৃহত্তম দল। নেতানিয়াহুই এই সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তাই লিকুদ পার্টি সর্বোচ্চ আসন নিশ্চিত করতে পারলে কট্টর ডানপন্থীদের সাথে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ইসরায়েলের ক্ষমতায় ছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শেষ চার নির্বাচনেও সর্বোচ্চ আসন পেয়েছিল তার দল লিকুদ পার্টি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় গঠন করতে পারেনি সরকার।

বিভিন্ন জরিপের ফলাফল বলছে, এবারও এগিয়ে নেতানিয়াহু। দুর্নীতির মামলা চললেও পরীক্ষিত নেতৃত্বের ওপর ভরসা রাখতে চাইছে জনগণ। বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার কঠোর মনোভবের কারণে কট্টরপন্থীদের কাছে আস্থাভাজন তিনি।

ড. গেইল তালশির বলেন, ক্ষমতায় থাকতে নিজের জোটকে শক্তিশালী করতে সবকিছুই করেছিলেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের রাজনীতিতে কট্টর ডানপন্থী রিলিজিয়াস জিয়নিজমকে এনেছেন, গুরুত্ব দিয়েছেন। যা আগে কখনও এতটা হয়নি।

ইসরায়েলের ক্ষমতায় যেতে আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে ১২০ আসনের নেসেটে কমপক্ষে ৬১টির দখল নিতে হবে কোনো দলকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply