বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে। বিরাজনীতিকরণ করতে এবং বিরোধীদলকে দমনে মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে সরকার। এ সময় আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি শাসকদের মতো আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবিধান সম্মত সভা-সমাবেশ পণ্ড করতে অনৈতিক ও অসাংবিধানিক পথ বেছে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, দেশে পুনরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ পণ্ড করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এমন কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকে।
দেশে এখন সংকটময় পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সংকটময় পরিস্থিতির সকল দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বানও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
এসজেড/
Leave a reply