নোয়াখালীতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

|

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ছবি।

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে, সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীরা তাদের প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলের পরীক্ষা ও ক্লাসের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দেবনাথ কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক।

কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান উদ্দিন ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী অভিযুক্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দেবনাথের কাছে প্রাইভেট পড়তো। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালেও সে ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে গেলে এক পর্যায়ে কৌশলে অন্য শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার ঘর থেকে বের করে দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। এ সময় সে ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার সহপাঠীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানায়।

কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামছুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান শিক্ষক গতকালই বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তাকে এ ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্লাসের সকল কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দেবনাথের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেয়া যায়নি।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সোমবারের ওই ঘটনার কথা মঙ্গলবার সকালে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগের কথা আমাকে জানিয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী যথোচিত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply