মাত্র দু’দিন পরই নির্ধারিত হবে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাবে কাদের হাতে। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে মরিয়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান রাজনীতিবিদরা। শনিবার (৫ নভেম্বর) শীর্ষ রাজনীতিবিদদের প্রচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া। খবর রয়াটার্সের।
ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে জমজমাট প্রচারণায় অংশ নেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঞ্চ ভাগাভাগি করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে। ভোট চান দলীয় প্রার্থী জন ফেটারম্যান ও জোশ শ্যাপিরোর পক্ষে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, পেনসিলভানিয়ার মানুষ জন ফেটারম্যান। আর ওজ? তার তুলনায় আমিও এখানে বেশি থেকেছি। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার স্থান নেই। আপনারা দেখেছেন পল পেলোসির সাথে কী হয়েছে। নির্বাচনী কেন্দ্রের বাইরে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকে রিপাবলিকানরা। তাদের ঠেকানোর ক্ষমতা আপনাদের হাতে। গণতন্ত্র এখন ব্যালটের ওপর নির্ভর করছে।
এসময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, যখন শীর্ষ পদে থাকা কেউ সহিংসতাকে উস্কে দেয় সেটা বিপজ্জনক। আপনাদের অবশ্যই এমন একজন নেতা পাওয়া উচিৎ যিনি আপনাদের পাশে থাকবেন, আপনাদের হয়ে লড়বেন। এমন কেউ না যে অ্যাটেনশন নেয়ার জন্য যা খুশি করতে পারে।
অপরদিকে সিনেটে মুসলিম প্রার্থী মেহমেত ওজের পক্ষে ভোট চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। লাল শিবিরের পক্ষে ঢেউ তৈরির আহ্বান জানান তিনি। চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ডেমোক্র্যাট সরকারকে তুলোধুনো করেন ট্রাম্প। আবারও ইঙ্গিত দেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাদের র্যালিতে মানুষই নেই। আর এখানে ঢল। বলেছে ৫ হাজার মানুষ জড়ো হবে। দেখুন গিয়ে ২শ’ মানুষ হতে পারে। ড. ওজ এর বিপরীতে জন ফেটারম্যান নামে একজন লড়ছেন। জঘন্য একজন প্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, সবাই আমার ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন। কথা দিচ্ছি খুব শিগগিরই আপনাদের ভালো খবর দেবো। এখনই তা বলতে চাইছি না। কারণ আপাতত ড. ওজ এর ওপরই দৃষ্টি রাখুন তাকে ভোট দিন।
দোদুল্যমান ভোটারদের কারণে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণী রাজ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নেভাদাকে। জরিপ বলছে ভোটার উপস্থিতি বেশ কমই হবে রাজ্যগুলোয়। সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে রিপাবলিকানরা। তবে, তরুণরা ভোট কেন্দ্রে গেলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
এটিএম/
Leave a reply